সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনেও সরকার নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে: ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনেও সরকার নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে।দেশে একদলীয় শাসন চলছে। সরকার মুখে গণতন্ত্রের বুলি শুনায়।কিন্তু সমস্ত কর্মকাণ্ড একদলীয় ও একপেশী। আজকে সারা বিশ্ব দেখেছে সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে কি হয়েছে? সুপ্রিমকোর্টে বিএনপি’র সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের লাঞ্ছিত করেছে এবং সাংবাদিকদের পিটিয়ে বের করে দিয়েছে। এই সরকার একটি ফ্যাসিস্ট সরকার। আমরা মহানগর বিএনপি’র পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে নির্বাচন চলা কালে নেক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এই সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। এই সরকারের অধীনে যতগুলি নির্বাচন হয়েছে সবগুলো একদলীয় নির্বাচন। আমরা বলতে চাই দেশের গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে আওয়ামী সরকার।
তিনি আজ ১৫ ই মার্চ, বুধবার, বিকেলে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন মাঠে নগর বিএনপি’র উদ্যোগে আয়োজিত আগামী

১৮ মার্চ কেন্দ্রীয় ঘোষিত সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, রোজা অতি সন্নিকটে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে আজ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। মাছ, মাংস, সবজি থেকে সব কিছু মূল্য চরম ঊর্ধ্বগতিতে। দেশের জনগণ নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছে।

এখনো পর্যন্ত সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট লালন পালন করছে। এই সরকার অনির্বাচিত সরকার।তাই এই সরকার জনগণের দুর্দশার কথা চিন্তা করছে না। তারা চিন্তা করছে কিভাবে আবারও ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়। অবিলম্বে রমজান আসার আগেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন। অন্যতায় জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি রাজপথে থাকবে।

প্রস্তুতি সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন ব‌লেন,দেশের সবকিছু আজ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সরকার কোন কিছু সামাল দিতে পারছে না। রাষ্ট্র ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে। তবুও সরকার জনগণের কথা ভাবছে না। দেশের মানুষের নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছে। এই সরকারে দয়া মায়া বলতে কিছুই নেই। এই নিষ্ঠুর সরকারের পতন হলেই জনগণ স্বস্তি পাবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সদস‌্য স‌চিব আবুল হা‌শেম বক্কর ব‌লে‌ছেন, নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী সরকার এখন ফ্যাসিবাদের চরম মাত্রায় এসে উপনীত হয়েছে। তারা বরাবরই গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করেছে। লুটপা‌টের মাধ‌্যমে দে‌শের অর্থনী‌তি ধ্বংস ক‌রে দি‌য়ে‌ছে। এই সরকা‌রের অ‌ধি‌নে সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ‌্য নির্বাচন হ‌তে পা‌রেনা। জাতীয় নির্বাচনেই শুধু ভোট চুরি করেনি, সুপ্রিম কোর্ট বারে, ঢাকা বারসহ সর্বত্র ভোট চুরি করছে। যেখা‌নে সু‌প্রিম কো‌র্টের বা‌রের নির্বাচ‌নে তো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প‌রিবর্তন হয়না, তাহ‌লে ক্ষমতা প‌রিবর্ত‌নের নির্বাচ‌নে আওয়ামী লীগ কি কর‌বে তা বুঝাই যা‌চ্ছে।সরকারের সব অপকর্ম ও অপশাসনের অবসান ঘটাতে জনগণকে ঐক‌্যবদ্ধ ক‌রে রাজপ‌থে আ‌ন্দোল‌নের মাধ‌্যমে এই ফ‌্যা‌সিষ্ট সরকা‌রের পতন ঘটা‌তে হ‌বে।আগামী ১৮ মার্চ শনিবার বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশ সফল করতে হবে এবং সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সমাবেশে যোগদান করতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ কামরুল ইসলা‌মের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, হাজী মো. আলী, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, শ্রমিক দ‌লের শেখ নূরউল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মো. আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, শ্রমিকদলের শম জামাল উদ্দিন, তাহের আহম্মেদ, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, তাঁতী দ‌লের আহবায়ক ম‌নিরুজ্জমান টিটু, ছাত্রদ‌লের আহবায়ক সাইফুল আলম,ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল ছগির, ইসমাইল বালী, ফয়েজুল ইসলাম, হাজী মো. ইলিয়াছ,কাজী শামসুল আলম, জমির আহমদ, জাহিদ মাষ্টার, মন্জুর আলম মন্জু, মো. সেকান্দর, ইলিয়াছ চৌধুরী, ফারুক আহমদ, মো. ইলিয়াছ, রফিক উদ্দিন চৌধুরী, মো. বেলাল, মো. আসলাম, মো. হারুন, এড, এফ এ সেলিম, শরিফুল ইসলাম, মোশারফ জামাল, হাজী মো. মহসিন, এস এম জামাল উদ্দিন জসিম, রাসেল পারভেজ সুজন,শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, সাব্বির আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, এম এ হালিম বাবলু, হাজী এমরান উদ্দীন, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, আবু সাইদ হারুন,হাবিবুর রহমান চৌধুরী, হাসান ওসমান চৌধুরী, আলী হায়দার, জসিম মিয়া, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, ফ‌রিদুল আলম, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মো. হাসান,এস এম আজাদ, কামরুল ইসলাম, শফি মেম্বার, মাসুদুল কবির রানা, ফিরোজ খান, মামুন আলম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *