কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ১৬ অক্টোবর

-স্টেশন

কুড়িগ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে আগামী ১৬ অক্টোবর ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে প্রথম আন্তঃনগর ট্রেনের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করবেন। সম্ভাব্য কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নামের এই ট্রেনটি চালু করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কুড়িগ্রামের বাসিন্দাদের দাবি ছিল। সেই দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি এই ট্রেনটি চালু হচ্ছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিমাঞ্চল) হারুন অর রশীদ জানান, ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে কুড়িগ্রাম থেকে নতুন ট্রেন চালু করতে বলেছিলেন। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি।’

কুড়িগ্রামবাসীর বহুল প্রত্যাশিত এ ট্রেনটির নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে রেল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ ট্রেনটি ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ নাম হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ট্রেনটির নাম চূড়ান্ত করবেন।

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লালমনিরহাট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা পিটি ইনকা এমজি কোচ সংযোগ করা হবে।

যাত্রী পরিবহনের জন্য এতে ১১ টি কোচ থাকবে। এই ট্রেনটি চালু হওয়ার পাশাপাশি রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য বরাদ্দকৃত কুড়িগ্রামের শাটল ট্রেনটিও চলমান থাকবে।

ফলে কুড়িগ্রামবাসী দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের সুবিধা পাবেন। ট্রেনটি কুড়িগ্রাম-রংপুর-পার্বতীপুর-সান্তাহার-ঢাকা রুটে চলাচল করবে।

সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন ত্যাগ করবে। আর ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে ছাড়বে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। বুধবার এটি বন্ধ থাকবে।

প্রস্তাবিত এ ট্রেনটির বিরতি থাকছে (উভয় পথে) রংপুর-বদরগঞ্জ-পার্বতীপুর-জয়পুরহাট-সান্তাহার-মাধবনগর-ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন-ঢাকা।

কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাত্রাকালীন এতে মোট ৬২৬ টি আসন থাকবে। আর ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম ফেরার সময় এতে ৫৯৬টি আসন থাকবে। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১১৬৮ টাকা এবং এসি বার্থ ১৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কুড়িগ্রামের জন্য ৪০ ভাগ আসন এবং রংপুরের জন্য ৩০ ভাগ আসন বরাদ্দ থাকবে।

রেল অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, কুড়িগ্রাম-তিস্তা জংশন রেলপথের সিঙ্গারডাবরি থেকে রাজারহাট রেলস্টেশন পর্যন্ত রেলপথের পাশ দিয়ে সড়ক বিভাগের রাস্তা তৈরির ফলে রেলপথের এই অংশটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই রেলপথ দিয়ে ট্রেন চালানো নিরাপদ নয়। তারপরও সংস্কার ছাড়াই নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চালু হচ্ছে। তবে তিস্তা জংশন-কুড়িগ্রাম রেলপথ সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *