পটিয়ায় প্রবাসীর বাউন্ডারী দেয়াল ভাঙল সন্ত্রাসীরা

চট্টগ্রামের পটিয়ায় অস্ত্র উচিয়ে ফায়ার ও ককটেল বিষ্ফোরণ করে মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রবাসীর জায়গার বাউন্ডারী রাতের আধাঁরে গুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গত ২৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে পটিয়া পৌর সদরের ৭নং ওয়ার্ডের আলম শাহ সড়কের বৈলতলী রোড সংলগ্ন ফারজানা আক্তারের কেনা জায়গায় এ ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি থাকা ফারজানা আক্তার ও তার স্বজনদের রক্ষা করে পটিয়া থানা পুলিশের একদল সদস্যরা। এঘটনায় ভুক্তভোগী ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে ফরিদ, আবুল কালাম, আব্দুর রহিম, বিএনপি নেতা মো. শাহজানকে প্রধান আসামী করে আরো ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১ থেকে ২’শ জনের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি মামলার এজাহার দায়ের করেন। প্রবাসী মো. মুছার স্ত্রী ফারজানা আক্তার।

এবিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ফারজানা আক্তার জানান, ২০১৯ সালে ৭.৭৯ শতাংশ আমার কেনা জায়গায় সরকারি বিধি বিধান মেনে পটিয়া পৌরসভার নকশা অনুমোদন করে কাজ করতে গেলে স্থানীয় চিহ্নিত ভূমিদস্যূরা আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি এই চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তারা আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি, ধমকি সহ আমাকে প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে।

এর ধারাবাহিকতায় পার্শ্ববর্তী আব্দুছ ছাত্তার জামে মসজিদের মাদ্রাসা নির্মাণের কথা বলে জায়গা দখলের পাঁয়তারা করে ও আমাকে মামলা মোকাদ্দামা দিয়ে হয়রানী করে। তাদের উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য আদালতে গেলেও আদালত সব কাগজপত্র দেখে আমার পক্ষে রায় দেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসী দল বল নিয়ে, আমাদেরকে অস্ত্র উচিয়ে, ককটেল বিষ্ফোরণ করে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করে আমার বাউন্ডারী দেওয়াল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার বিষয়ে পটিয়া পুলিশ অবগত থাকলেও আমি স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি বারবার অবহিত করার পরও এর কোন সুরহা পাইনি। তাই আমি স্থানীয় হুইপ সহ ঊর্ধ্বতন সকল কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে আমরা দুই পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলেছি। ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২৪ঘণ্টা.জেআর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *