বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সমস্ত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়। ২০১৪ সালে ভোটই হয়নি ১৫৩টি আসনে নির্বাচিত ঘোষণা হয়ে গেল। ২০১৮ সালে ভোট আগের রাত্রে হয়ে গেছে, আর আওয়ামী লীগ জোর করে সরকারে বসে গেছে। ঢাকার বঙ্গবাজার পুড়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু এই সরকারের এসব ব্যাপারে কোনো মাথা ব্যথা নেই। আসলে আওয়ামী লীগের এখন দেয়ার কিছু নাই।
তিনি শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকালে নগরীর কদমতলী শুভপুর বাস ষ্টেশন মাঠে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে সদরঘাট থানা বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনেক দুঃখের সাথে বলেছেন, ইভিএম ব্যালট কোনোটাই কাজে দেবে না যদি বিরোধী দল অংশ না নেয়, অর্থাৎ বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় সেটা কাজে দেবে না। কেউ মানবে না। সুতরাং একটাই দাবি, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
সদরঘাট থানা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. সালাউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সি. যুগ্ম সম্পাদক কায়সার হোসেন বাবুর পরিচালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য জয়নাল আবেদিন জিয়া, মহানগর বিএনপি নেতা মশিউল আলম স্বপন, মো. আলী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য সাইফুর রহমান চৌধুরী শপথ, মহানগর মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক কামরুন্নাহার লিজা, বিএনপি নেতা মো. শাহজাহান, থানা বিএনপির সহ সভাপতি খোরশেদ আলম, ওমর ফারুক রুবেল, মো. ইলিয়াছ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ মুছা বাবলু, সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সহ সভাপতি ইব্রাহীম মান্নান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হোসেন, তছলিম উদ্দিন, মো. বাদল, নগর কৃষক দলের সদস্য আজম খান, নগর যুবদল নেতা নূর জাহেদ বাবলু, মো. ইসমাইল, নূর খান, মো. রাসেদ, ইয়াসিন আরাফাত, আনোয়ারুল আবেদিন মুন্না, ইউনুছ মিয়া জুয়েল, নাহিদ আলম, কায়সার হামিদ রাব্বি প্রমূখ।
Leave a Reply