মিরসরাই প্রতিনিধি ::::মিরসরাই পৌর বাজারের স্কুল মার্কেটের ৩টি দোকানও কাসেম মার্কেটের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। চোরের দল মার্কেটের সিসি ক্যামেরা ফাঁকি দিয়ে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়েছে।
শনিবার ( ৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এই চুরির ঘটনা ঘটে। চোরের দল মার্কেটের ৩ তলার সিঁড়ি রুমের গেইটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। মার্কেটের ভেতরের দোকানিদের সিসি ক্যামেরা বিকল করে ৩ দোকানে চুরি করে। এসময় চোরের দল মার্কেটের নিচতলার সুমন স্টোর থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও দোতলার প্রিয়তোষের স্টোর রুম থেকে দামি সিগারেটের কার্টোন চুরি করে নিয়ে যায়। অন্য একটি দোকানের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতেই দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখে ওই দোকানে থেকে বের হয়ে যায়। এছাড়া স্থানিয়রা জানায় গত ১৫ দিনে মিরসরাইয়ে ব্যাপক হারে চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেল চুরি, গরু চুরি, দোকান চুরি লেগেই আছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মিরসরাই থানার কাছে লায়লা কানন থেকে একটি প্রাইভেটকার চুরি হয়ে যায়। পরবরর্তীতে ঐ গাড়ি ট্রেকারের সহায্যে পাওয়া যায়। এর আগেরদিন থানার পাশের একটি ভবনের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেটিও ট্রেকারের সহায়তায় পাওয়া যায়। কিন্তু এর আগে মিরসরাই ডাকবাংলো এলাকা থেকে একটি মিরসরাই স্টেডিয়াম এলাকা থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এছাড়া মিরসরাইয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিরাতে গরু চুরি হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় দিনে দুপুরে পাহাড়ে ছেড়ে দেওয়া গরু গুলি জবাই করে মাংস চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে মিরসরাই ইকোনমিক জোন এলাকায় একটি গরুর খামারে নৈশ প্রহরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গরু নিয়ে গেছে।
এসব কর্মকাণ্ডে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও থানায় অভিযোগ দিতে ইচ্ছুক নয় ক্ষতিগ্রস্তরা।
কারন হিসেবে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, থানায় অভিযোগ করে চোরাই মাল তো উদ্ধার হয়না আরো থানার হয়রানীর শিকার হতে হয়। মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে মিরসরাই থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে ফোন করা হলে তিনি এই প্রতিনিধির ফোন ব্লক করে দেন। পরবরর্তীতে বক্তব্য চেয়ে অডিও বার্তা দিলেও তার রিপ্লাই দেন নাই।
Leave a Reply