আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে দুর্ঘটনা রোধে সড়কে চলাচলকারী ফিটনেস ও রুট পারমিটবিহীন অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে নেমেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সিএমপি’র ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগ।
এরই অংশ হিসেবে আজ ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতু প্রকাশ কর্ণফুলী ব্রীজ চত্ত্বরে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার। অভিযানে সড়কে চলাচলকারী লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর অপরাধে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ মোতাবেক ৪টি বাস ও ১টি সিএনজি অটোরিক্সাসহ মোট ৫টি মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মেট্টোপলিটন পুলিশ ও বিআরটিএ’র প্রতিনিধি অভিযানে সহযোগিতা করেন। এছাড়া একই এলাকায় চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ৭টি ম্যাক্সিমা ও ২টি ব্যাটারী রিক্সা আটকসহ ৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার জানান, প্রতি বছর পবিত্র ঈদের আগে ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন বেশ কিছু গাড়ি রাস্তায় নামার কারণে মারাত্বক দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান স্যারের নির্দেশে ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন সকল প্রকার যানবাহনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা আনায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উদ্যোগে উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিনের নেতৃত্বে আজ ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার কর্ণফুলী ব্রীজ এলাকা, তুলাতলী মোড় ও আশপাশের মূল সড়কে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় সড়কে অবৈধভাবে চলাচলরত ৭টি ম্যাক্সিমা ও ২টি ব্যাটারী রিক্সা আটক করে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একইসাথে বিভিন্ন অপরাধে ৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।
অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন টিআই (প্রশাসন) অনিল বিকাশ চাকমা, টিআই (বাকলিয়া) মোঃ মনিরুজ্জামান, সার্জেন্ট কৌশিক চাকমা জয়, সার্জেন্ট জসিম উদ্দিন ও দায়িত্বরত কনস্টেবলগণ।
সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিন জানান, সড়কে চলাচলকারী ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অবৈধ ব্যাটারী রিক্সা ও গ্রাম সিএনজি’র বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply