সৈয়দপুর রেল কারখানায় রেলওয়ের মিউজিয়াম করা হবে

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ সৈয়দপুর রেল কারখানায় কোচ মেরামতের কাজে ব্যবহৃত পুরনো ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন মেশিনারিজ সংরক্ষণ করার জন্য একটি মিউজিয়াম করা হবে। রেলের ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য এ মিউজিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে রেল কারখানা কর্তৃপক্ষ।

প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরনো বাংলাদেশের অন্যতম এ রেল কারখানাটি কয়লা চালিত ইঞ্জিন মেরামত কারখানা হিসেবেই প্রথম ১৮৭০ সালে যাত্রা শুরু করে। পর্যায়ক্রমে এর প্রসারতা বেড়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই এ কারখানায় রয়েছে অনেক পুরনো এবং ঐতিহাসিক সব মেশিনারিজ। তাই সেগুলো সংরক্ষণে মিউজিয়াম করার প্রস্তাব দিয়েছে সৈয়দপুর রেল কারখানা কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সৈয়দপুর রেল কারখানা ঘুরে দেখার একপর্যায়ে এ কারখানার দায়িত্বে থাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জায়দুল ইসলাম এ কথা জানান।

১১০ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত এ কারখানায় একটি পরিত্যক্ত শেড পরিষ্কার করে সেখানেই মিউজিয়াম করার প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। সৈয়দপুর রেল কারখানায় মিউজিয়াম করার ব্যাপারে জানতে চাইলে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জায়দুল ইসলাম বলেন, সৈয়দপুর রেল কারখানায় ঐতিহ্যবাহী মেশিনারিজ রয়েছে। এখানে রয়েছে কয়লা চালিত ব্রড গেজ ইঞ্জিন, ডিজেল চালিত মিটার গেজ ইঞ্জিন ও ন্যারো গেজ ইঞ্জিন। এগুলোসহ বিভিন্ন মেশিনপত্র সংরক্ষণের জন্যই মিউজিয়াম করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ কারখানা শুরু হয়েছিল কয়লা চালিত ইঞ্জিনের মেরামত কারখানা হিসেবে। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে আজকের এ অবস্থায় পৌঁছেছে। তাই অনেক ঐতিহাসিক মেশিনারিজ, যাত্রীবাহী কোচ, মালবাহী কোচ রয়েছে। রেলওয়ের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহনকারী এসব মেশিনপত্রের কথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানানোর জন্য একটি মিউজিয়াম থাকা জরুরি। তাই এগুলো সংরক্ষণ করা দরকার।

তিনি আরো বলেন, আমি দেখেছি সৈয়দপুরে যত মানুষ ঘুরতে আসেন, সবাই একবার হলেও রেল কারখানা ঘুরে দেখে যেতে চান। সে ক্ষেত্রে আমাদের একটি মিউজিয়াম থাকলে সেখান থেকে আমরা একটি রেভিনিউ আয় করতে পারব। একই সঙ্গে রেলের ইতিহাসও জানাতে পারব। সৈয়দপুর রেল কারখানায় একটি মিউজিয়াম করার প্রক্রিয়া চলছে। তবে মিউজিয়ামের নাম এখনো ঠিক হয়নি। হয়তো রেলের ডিজি বিষয়টি ঠিক করবেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *