বলীখেলা চট্টগ্রামের ঐতিহ্য, একে বাঁচাতে হবে:চসিক মেয়র

প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ আর মৌলবাদীদের ষড়যন্ত্র রুখতে জব্বারের বলীখেলার মতো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (প্রতিমন্ত্রী) বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

মঙ্গলবার জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, বৃটিশ শাসনামল থেকে প্রতিরোধের বার্তা ছড়িয়ে আসছে জব্বারের বলীখেলা। বর্তমানে প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ আর মৌলবাদীদের ষড়যন্ত্রে যে সাংস্কৃতিক সংকট তা রুখতে এবং তা থেকে আমাদের ঐতিহ্য বাঁচাতে জব্বারের বলিখেলা আর বৈশাখী মেলার মতো সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোকে বাঁচাতে হবে।

“করোনার অভিঘাত পেরিয়ে এবছর আমরা লালদীঘি ময়দানে বলীখেলার আয়োজন ফেরাতে পেরেছি। আমি যতদিন মেয়রের দায়িত্বে আছি প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এই বলীখেলা আর মেলার আয়োজনকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করে যাব। আমরা যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত করতে কাজ করছি তাদের মনে রাখতে হবে সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ ছাড়া স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল আসবেনা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কেবল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছিলনা, এ যুদ্ধ ছিল আমাদের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার যুদ্ধও। আজও এ যুদ্ধ চলমান আর এ যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে।”

বিকেল পৌনে ৪টায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় নগরের ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার ১১৪তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হন কুমিল্লার শাহজালাল বলী। রানার্সআপ হন চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম জীবন। সৃজন চাকমা তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। এর আগে প্রথম সেমি ফাইনাল মুখোমুখি হয় গতবারের চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার তরিকুর ইসলাম জীবন ও খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমা। প্রায় ১১ মিনিট ৩৬ লড়াইয়ে জীবন বলীর কাছে পরাজিত হন সৃজন বলী। অন্যদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আনোয়ারার আব্দুন নুরের মুখোমুখি হয় গতবারের রানার্সআপ কুমিল্লার শাহ জালাল বলী। বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন মেয়র। এবারের আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল তারা গ্রুপ।

এবারের আসনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন। কাউন্সিলর জহির লাল হাজারীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর মোঃ আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *