সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রোশনী আক্তার সায়মা (১৮) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হাসনাবাদ গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসেনের নতুন বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের এক বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত গৃহবধূর স্বামী ও দুই ননদকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে রাত সাড়ে ১০টার সময় গৃহবধূ সায়মার গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ভোরে পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করে। তবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ।
মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার বলেন, লাশ উদ্ধারের পর নিহতের পরিবার এটি ডাকাতি বলে প্রচারের চেস্টা করে। এখন সঠিক ঘটনা কি হয়েছে তা তদন্ত করলেই বের হবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
নিহত গৃহবধূ রোশনী আক্তার সায়মা ফটিকছড়ি উপজেলার, ভুজপুর থানার, ১১ নং সোয়াবিল ইউনিয়নের সোবানছড়ির, ফয়ার তালুকদার বাড়ির বেলাল উদ্দিনের কন্যা। গত দুই বছর আগে সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেনের পুত্র দিদারুল আলমের সাথে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। গৃহবধূকে কে বা কারা হত্যা করেছে সে ব্যাপারে কিছু জানেননা বলে জানান শশুর, শাশুড়ী। তবে তারা এ হত্যাকান্ডে তাদের বড় মেয়ের স্বামীর হাত থাকতে পারে বলে ধারণা করলেও গৃহবধূ সায়মার পরিবারের দাবী শশুড়বাড়ির লোকজন তাদের মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেছে।
মা রুজি আক্তার ও পিতা বেলাল উদ্দিন জানান, প্রায় সময় স্বামীসহ পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্যে তাদের মেয়েকে নির্যাতন করতো।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার রাতে পরিকল্পিতভাবে ওই গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। তবে নিহত গৃহবধূর শরীরে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধূর ননদের রক্তমাখা একটি থ্রি পিস উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply