শেখ হাসিনা নৌকার হাল না ধরলে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হতো না:চবি উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে বিশ্বের দরবারে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পাকিস্তানী ঘাতক বাহিনী কর্তৃক জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা নৌকার হাল না ধরলে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হতো না, মহান মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা-চেতনা বাস্তবায়নের দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতো না। নতুন ও তরুণ প্রজন্মকে জাগিয়ে তোলার জন্য ইতিহাস-ঐতিহ্যের চিত্র প্রদর্শনী নিংসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।

আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে বাঙ্গালীর স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তাঁর জীবন ইতিহাস, আন্দোলন, সংগ্রাম, সুখ-দুঃখ-বেদনা ও বীরত্বপূর্ণ জীবনগাথা ইতিহাস নিয়ে আয়োজিত ‘ইতিহাস কথা কয়’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের সার্বিক তত্ত¡াবধানে ‘দেশ একটি সম্মিলিত উচ্চারণ’-এর সহায়তায় আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে চিত্র সংগ্রাহক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন মজুমদারের সংগৃহীত ৪৬৮টি সাজানো মনোগ্রাহী চিত্রের মাধ্যমে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের উজ্জ্বল চিত্র ফুটে উঠেছে।

চবি উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙ্গালী জাতির নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন সারা বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। তাই শোককে শক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আই’র চট্টগ্রাম ব্যুরো চীফ সাংবাদিক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম (যুদ্ধাহত), বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুর উদ্দিন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন মজুমদার। মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কর্মকর্তাবৃন্দ, থানা কমান্ডার, প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহানগর ও জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেষে গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা-হুমকির প্রতিবাদে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের যৌথ নেতৃত্বে মিছিলটি থিয়েটার ইনস্টিটিউট থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *