অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে উন্নয়ন প্রচারে

বিরোধী দলের অপপ্রচারের জবাব সরকারের উন্নয়ন প্রচারের মাধ্যমে দিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার গণভবনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি নেতাদের এ নির্দেশনা দেন। বৈঠককে উপস্থিত একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। এ সব অপশক্তির বিরুদ্ধে সকলকে দাঁড়াতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে, সে জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগকে প্রস্তুতি নিতে হবে। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নের প্রচার ও বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।

সূত্র জানায়, বিএনপি জামায়াতের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র হরণের জনক, তারাই এ দেশে লুটপাট, হত্যা ক্যু, সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে। তারা এ দেশে হ্যাঁ না ভোট ও জালিয়াতি করেছে, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। তারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। প্রতিটি এলাকায় এলাকাভিত্তিক তালিকা করতে বলেন। যদি কেউ গৃহহীন থাকে সে তালিকা দিলে তাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণের মধ্য দিয়ে যাদের জন্ম তারা (বিএনপি) আবার জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করতে চায়, লুটপাট করতে চায়। দেশের মানুষকে আবার অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে চায়। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না, এটা মনে রাখতে হবে।

২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ও আমাদের ১৪ দলীয় জোট এ দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছিলাম। মাত্র ২৯টি সিট পেয়েছিল বিএনপি। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির অত্যাচার, নির্যাতন, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, হাওয়া ভবন তৈরি করে পয়সা খাওয়ার কারণে বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল। কিন্তু বারবার তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি। স্বাক্ষরতার হার বাড়িয়েছি, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। রাস্তাঘাট-ব্রিজ উন্নত করেছি। বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ যা বিশ্ববাসী স্বীকার করে। তবে এটা চোখে দেখে না কারা, ওই সন্ত্রাসী, লুটেরা দুর্নীতিবাজ বিএনপি। এরা চোখে দেখে না। আর কিছু আছে, যারা বুদ্ধি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে যারা তারা কিছু দেখে না। তাদের আমরা করুণা করতে পারি। সাধারণ মানুষ আমাদের পক্ষে।

স্মার্ট দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, স্মার্ট দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলব, সরকার হবে স্মার্ট সরকার, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সরকার পরিচালনা করব, অর্থনীতি হবে স্মার্ট ইকোনোমি, ডিজিটাল ইকোনোমির সঙ্গে সব কিছু জড়িত। স্মার্ট সমাজ হবে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্দেশে বলেন, শুধু সংগঠন করলে হবে না, আমরা যে উন্নয়ন করেছি তা মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। দেশ সেবায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষের সেবায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। রাজনীতিবিদের ভোগ না মানুষের সেবা ও ত্যাগের মধ্য দিয়েই সবচেয়ে বেশি আনন্দ। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *