মিরসরাইয়ে চাঁদা না পেয়ে যুবলীগ কর্মীকে বেদম পেটালো উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক

নিজস্ব প্রতিনিধি:::মিরসরাইয়ের এক যুবলীগ কর্মীকে চাঁদার দাবিতে বেদম মারধর করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা।

আহত যুবলীগ কর্মীর নাম মাসুদ রানা (৩২)। তিনি ১৩ নং মায়ানী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন বুলুর ছেলে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়ন বড়তাকিয়া বাজারে যুবলীগকর্মী মাসুদ রানার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় আহত মাসুদ রানাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

আহত মাসুদ রানার মা লুৎফর নাহার অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা । আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। আমার ছেলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সে যুবলীগের রাজনীতি করে। ইকোনমিক জোনে জমি নিয়ে সরকার কয়েক কোটি টাকা দিয়েছে। সেগুলো দিয়ে ছেলে মেয়েরা ব্যাবসায় শুরু করেছে‌। বড়তাকিয়া বাজারে ছেলে মাসুদ রানা কাঠের ও ফার্নিসারের দোকান দিয়েছে। বাজারে আমাদের মার্কেট আছে সেগুলোর ভাড়া তোলার দায়িত্ব রানার উপর। গত কয়েকদিন ধরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানা। প্রায় সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে ছেলেকে। আজকে সন্ধ্যায় আবারো মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানা ও ১২ নং খৈয়াছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদুল হাসান লাবিব সহ ৮ থেকে ১০ জন চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে অন্যান্যদের সামনে মাসুদ করিম রানা ও নাহিদুল ইসলাম লাবিব ছেলের দোকান থেকে গাছ নিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এসময় স্থানীয় দুই যুবক ইমাম ও ইসলাম আমার ছেলেকে উদ্ধার করতে আসলে তাদেরকেও ধাওয়া করে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিরসরাই পৌর যুবলীগের এক নেতা জানান, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে কাজ করেন আহত মাসুদ রানা। অপর পক্ষে হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের অনুসারী। হামলা ও চাঁদা দাবির পেছনে মুল কারন বলেও জানান এই নেতা।

হামলার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানার সাথে যোগাযোগ করতে বার বার ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

হামলার খবর পাওয়া মাত্র মিরসরাই থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহতের পরিবারের বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। তিনি জানান, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি, রাজনৈতিক বা নির্বাচন কেন্দ্রিক নয়। থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *