কোটা আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর রেলস্টেশন থেকে মিছিল নিয়ে ২ নম্বর গেটে আসেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে চকবাজারের দিকে যান।

মিছিলে অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চবি অধিভুক্ত কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এর আগে, বিকেল ৪টায় চবির শাটল ট্রেনে চড়ে শিক্ষার্থীরা ১৮ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে আসেন।

শিক্ষার্থীরা এ সময় আমার ভাইয়ের রক্ত কেন? প্রশাসন জবাব চাই, আমার বোনের রক্ত কেন? প্রশাসনের জবাব চাই, চট্টগ্রাম-কুমিল্লায় রক্ত কেন? প্রশাসনের জবাব চাই, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না, সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে, লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকেন।

আন্দোলনকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আসাদ বলেন, আমরা সাড়ে চারটায় (বিকেল) পূর্ব ঘোষিত স্থানে আসার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়েছি। ট্রেনে প্রায় আধা ঘণ্টা সময় বেশি লাগে। আনুমানিক ৫টার দিকে আমরা ষোলশহর স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেছি। এরপর ২ নম্বর গেট হয়ে প্রবর্তকের দিকে যাচ্ছি। ওখান থেকে চকবাজার হয়ে ষোলশহর স্টেশনে ফেরার কথা রয়েছে।

আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক মো. রাসেল আহমেদ ও মো. আরেফিন বলেন, আমরা এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অতিক্রম করছি। রোগীদের কথা বিবেচনা করে আমরা কোনো শ্লোগান ছাড়া হাসপাতাল এলাকা অতিক্রম করছি। আমাদের আন্দোলনে কারও যেন সমস্যা না হয়, সেটি মাথায় রেখেই আমাদের কর্মসূচি পালন করছি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি না মেনে নিয়ে উল্টো আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে। পুলিশ অন্যায়ভাবে আমাদের ওপর হামলা করছে। আমরা এসব মেনে নিব না।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) চট্টগ্রাম-কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা শুক্রবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *