২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন চট্টগ্রাম সিটি কর্র্পোরেশনে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সকল সম্মানি গ্রহণ না করে দুঃস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে বিতরণ করে যাচ্ছেন।
এ বিতরণ কর্মসূচির আওতায় ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে টাইগারপাসস্থ মেয়র দপ্তরে মাসের সম্মানি ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা অসহায়, দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধীদের লেখাপড়ার জন্য আর্থিক অনুদান করেন সিটি মেয়র।
এই মাসের সম্মানির টাকাসহ গত সাড়ে চার বছরের তাঁর প্রাপ্য সম্মানির ৬৫ লাখ টাকা দান করলেন গরীব, দুঃখী, শিক্ষার্থী, অটিজম শিশুসহ হতদরিদ্রের মাঝে।
মেয়র প্রতি মাসে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা সম্মানি পান। কিন্তু সেই টাকা অটিজম স্কুল, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহায় শিক্ষার্থী আর অসুস্থ রোগীদের মধ্যে বিলিয়ে দেন সিটি মেয়র। এমন কিছু প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও রোগী আছেন যারা প্রতি মাসে নির্ধারিত অঙ্কের টাকা পেয়ে থাকেন।
কারো জটিল অপারেশন বা চিকিৎসা নিতে সমস্যা, সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত কর্মকর্তার কাছে থাকা নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে মাসশেষে কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই এই আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ‘অটিজম’ শিশুদের নিয়ে কাজ করে নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশন। যেখান থেকে ১৭ জন শিশু মূল ধারায় ফিরে এসেছে। এমন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম ‘ডোনার’ সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তাঁর মাসিক সম্মানির একটি বড় অংশ চলে যায় ফাউন্ডেশনটিতে।
মেয়র হিসেবে সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া সম্মানির পুরোটাই নগরীর গরিব-দুঃখী মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেন। মানবতার তরে এমন উদ্যোগে দেশজুড়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সিটি মেয়র বলেন,মেয়র পদটি শুধুমাত্র একটি সম্মানজনক দায়িত্ব। যেটা আমি রাজনৈতিক কর্মী হওয়ার কারণে পেয়েছি। সেই পদের বিপরীতে আমি কোনো অর্থ বা সুবিধা গ্রহণ করতে পারি না। তাই সরকারি তহবিল থেকে পদের বিপরীতে যেসব টাকা পেয়েছি, সবটাই গরীব-মেহনতি মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দিয়েছি।
বিতরণ অনুষ্ঠানে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মো. আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া,মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরীসহ কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply