শিক্ষক লাঞ্চনার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইইই বিভাগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি)’র ‘ত্রিপল ই’ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মাদ শামিমুল হক চৌধুরীকে লাঞ্চনা করার প্রতিবাদে সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করেছে ‘ইইই’ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

বুধবার (০৮ জানুয়ারী) বিভাগের শিক্ষকদের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ক্লাস বর্জনের ঘোষনা দিয়ে নোটিশ প্রদান করে শিক্ষকরা।

নোটিশে বলা হয় গত (৭ জানুয়ারী) মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মাদ শামিমুল হক চৌধুরীর সাথে কিছু সংখ্যক উশৃঙ্খল ছাত্র গালিগালাজ, বাকবিতন্ডা ও অশালীন আচরণ করে এবং নানাবিধ হুমকি প্রদান ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এবং বিভিন্ন সময় তারা একাডেমিক কার্যক্রমে অনৈতিকচাপ প্রয়োগ করে আসছিলো। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই বিভাগের চেয়ারম্যানের নামে বিভিন্ন আপত্তিকর পোস্ট দিয়ে আসছিলো তারা। গত বছরের এপ্রিল মাসে ওই উশৃঙ্খল ছাত্ররা উক্ত বিভাগে হামলা ও ভাংচুর করে। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করার লিখিত আশ্বাস দিলেও তার দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন। উক্ত ঘটনায়
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।

এ সকল ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকরা নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রাখতে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে লাঞ্চনার শিকার ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মাদ শামিমুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, ক্লাস চলাকালীন সময়ে আমাদের বিভাগের ছাত্রদেরকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। এবং আমার সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করে এক পর্যায়ে তারা আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং অকথ্য ভাষায় চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বলে। এছাড়াও আমার সন্তানদের স্কুলে যাওয়ার পথে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুমকি প্রদান করে। এমনকি তাদের মধ্যে একজন আমাকে ‘তুই’ বলেও সম্বোধন করে।

গত ৮ই জানুয়ারি শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা পরপরই আই আই ইউ সি ছাত্রলীগ(প্রস্তাবিত কমিটি) অনির্দিষ্টকালের ছাত্রধর্মঘটের ডাক দিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। এসকল বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ডঃ মোঃ কাউসার আহমেদ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন এবং তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। আগামী ৭দিনের মধ্যে এই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কমিটিতে রয়েছেন ট্রেজারার, কনভেনার ড. আ. আব্দুল হামিদ চৌধুরী,ড. মাসরুরুর মাওলা, মুহাম্মাদ নিজামুদ্দীন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *