মডেল থেকে অভিনেত্রী শর্মি ইসলাম

একটি পোশাকের ব্রান্ড মডেল হওয়া নড়াইলের লোহাগড়ার মেয়ে শর্মী ইসলাম টিভি অভিনেত্রী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন লিটু করিমের অন্তরালে বিষাদ নাটক দিয়ে।

টিভিতে তার ক্যারিয়ার মাত্র এক বছরের। এই সময়ে তিনি ওয়েব সিরিজ, ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, দুটি টেলিফিল্ম এবং ১২টি নাটকে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে ধারাবাহিক নাটকও রয়েছে। ঈদের নাটক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ছয়টি নাটকে। এর মধ্যে রয়েছে যদি থাকে নসিবে, বন্ধন, বিএসসি তালেব, গফুরের বিয়ে, কল্পনায় ভালোবাসা এবং লাভ লেইনের পান।

শর্মী ইসলাম বলেন, চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান নির্মাতাই তাকে অফার দিয়েছেন। কিন্তু সেগুলোতে তিনি তেমন একটা সাড়া দেননি। কেন দেননি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘অভিনয়ে পরিপক্কতা লাভের পর আমি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাই।’ তিনি শৈশব থেকেই উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীতে কাজ করে আসছেন। মঞ্চেও কাজ করেন। সুতরাং তার অভিনয়ের পাটাতন নড়বড়ে বলা যাবে না। তবে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করার মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন বলে জানালেন।

শর্মী ইসলাম

যশোহরের এমএম কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করা শর্মী বলেন, ‘চলচ্চিত্র বা নাটক বলে কথা নয়, আমার কাছে গল্পটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গল্প পছন্দ হলে পারিশ্রমিক নিয়ে খুব একটা ভাবি না। বাবা মার পরামর্শও আমি যেন ভালো গল্পে কাজ করি। বাবা-মার পর আমার ভালোবাসার স্থান মিডিয়া। এখানেই আমার ঠিকানা গড়ে তুলতে চাই।’

এক প্রশ্নের জবাবে শর্মী বলেন, ‘টিভির সব নায়কই আমার পছন্দের। তবে বেশি পছন্দ তাকেই, যিনি ভালো অভিনয় জানেন।’ তিনি বলেন, আমার ক্যারিয়ার এক বছর হলেও খুব কম সময়ের মধ্যে আমি সবার নজরে এসে গেছি। আমি মনে করি এটাই আমার বড় স্বার্থকতা এবং পাওয়া। আমার আরেক বড় পাওয়া হলো আমার পারিবারিক পৃষ্ঠপোষকতা।’

তিনি বলেন, ‘অভিনয়ের মাধ্যমে আমি দর্শক মনে একটা স্থান করে নিতে চাই। এজন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা।’

শর্মি বলেন, ‘আমার কোনো প্রেম নেই, কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই। কারণ আমার কাছে একজন বয়ফ্রেন্ডের চাইতে ক্যারিয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমার ক্যারিয়ারে যে সহায়তা করবে কেবল সেই হতে পারে আমার বয়ফ্রেন্ড।’ প্রসঙ্গত তিনি মিডিয়া জগতের অসুবিধা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, কাজ করতে গিয়ে আমাকে কখনোই কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। কেউ আমার প্রতি বিরুপ মনোভাবও দেখায়নি। আমি যে ইউনিটে কাজ করি, সেই ইউনিটকে আমি আপন করে নেই। সবার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মতো থাকি।’

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *