চট্টগ্রাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে

বিপিএলের চলতি আসরে এলিমিনিটর ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের ৩ ও ৪ নম্বর দলের লড়াইয়ে শেষ হাসি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। ঢাকা প্লাটুনকে ৭ উইকেটে হারিয়ে অলিখিত সেমিফাইনালের (কোয়ালিফায়ার) টিকিট পেল দলটি।

এদিন আগে ব্যাট করে শাবাদ খানের ঝড়ো ইনিংসের উপর ভর করে চট্টগ্রামের সামনে ১৪৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ঢাকা। এই টার্গেট টপকাতে ক্রিস গেইলের সাথে ইনিংস শুরু করত আসেন জিয়াউর রহমান। শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন জিয়া। মেহেদী হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ১২ বলে ২৫ রান করেন তিনি।

এরপর গেইল ধীরগতির ব্যাটিং করলেও অন্য প্রান্তে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন ইমরুল কায়েস। ৩টি ছয়ের সাথে ১টি চারের মারে মিরপুরের ভরা গ্যালারীকে আনন্দে ভাসান তিনি। শাদাব খানের বলে থিসারা পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ২২ বলে ৩২ রান করেন ইমরুল। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের ভিত গড়া হয়ে গেছে চট্টগ্রামের।

তবে এই ম্যাচে খোলস ছেড়ে বের হতেই পারলেন না গেইল। বাঁহাতে ১৪ সেলাই নিয়ে গালিতে দাঁড়িয়ে গেইলকে একহাতে তালুবন্দী করে ফেরান মাশরাফি বিন মুর্তজা। আউট হওয়ার আগে ৪৯ বলে ৩৮ রান করেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব।

শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১৪ বলে ৩৪ এবং চ্যাডউইক ওয়ালটনের ১০ বলে ১২ রানের সুবাদে ১৪ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এই জয়ের ফলে অলিখিত সেমিফাইনালে টিকিট পেল বন্দরনগরীর দলটি। একই সাথে এবারের বিপিএল পর্ব শেষ হয়ে গেল তারকায় ঠাঁসা দল ঢাকা প্লাটুনের।

এর আগে মুমিনুল হককে নিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে এসে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি তামিম ইকবাল। ১০ বলে ৩ রান করে রুবেল হোসেনের বলে আউট হন তিনি। এরপর দলীয় পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে এনামুল হক বিজয় ও লুইস রিস শূন্য হাতে ফিরলে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা।

খানিক বাদে ৭ রান করে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান ও ০ রান করে জাকের আলীও আউট হলে ৯ ওভারে মাত্র ৪৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট যায় ঢাকা প্লাটুনের। তবে সতীর্থ্যরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যান ওপেনার মুমিনুল হক। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৩১ বলে সমান ৩১ রান করে যান তিনি।

এরপর থিসারা পেরেরাকে নিয়ে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন শাদাব খান। দুজনের ৪৪ রানের পার্টনারশিপের পর ১৩ বলে ২৫ করে আউট হন পেরেরা। শেষদিকে মাত্র ৩৬ বলের নিজের ফিফটির তুলে নেন শাদাব। শেষপর্যন্ত ৪১ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এর ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৪৪ রানের পুঁজি পায় ঢাকা প্লাটুন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা প্লাটুন: ১৪৪/৮ (২০ ওভার)
শাদাব ৬৪*, মুমিনুল হক ৩১, পেরেরা ২৫; এমরিট ৩/২৩, নাসুম ২/১১, রুবেল ২/৩৩।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৪৭/৩ (১৭.৪ ওভার)
গেইল ৩৯, কায়েস ৩২, জিয়াউর ২৫; শাদাব ২/৩২, মেহেদী ১/২০।

ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *