২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব সেন প্রিন্স, চট্টগ্রাম : সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নগর সেবা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের। আর তাই এ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন স্বপ্ন দেখেন এবং দেখান নগরকে ক্লিন ও গ্রীণ রাখবার।
তিনি স্বপ্ন দেখেন এলাকার শিশু কিশোর তরুণদের বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার। এই লক্ষ্যকে নিয়ে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের পথ চলা।
স্বপ্ন দেখেন বলেই এক সময় যেসব এলাকার ফুটপাত ছিলো দুর্গন্ধে ভরা, যেখানে হাঁটাচলা করতে পথচারীকে নাকে রুমাল দিয়ে রাখতে হতো অনিচ্ছা স্বর্ত্বেও। সেসব দুর্ঘন্ধময় এলাকায় এসেছে নান্দনিকতার ছোঁয়া। সেই শহরটিতে দুর্গন্ধমুক্ত নির্মল বাতাসে প্রাণভরে নি:শ^াস নিতে পারে নগরবাসী।
সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় সাজছে নগর। এর অংশ হিসেবে রবিবার রাতে দক্ষিণ খুলশীতে সৌন্দর্যবর্ধন কাজের উদ্বোধন করলেন সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, চসিক প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, মিডিয়া ট্রেন্ডস্ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সল জিয়া, সিইইউ তৌহিদুল ইসলাম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
এসময় সিটি মেয়র এলাকার সৌন্দর্য ও পরিপাটি পরিবেশ রক্ষায় এলাকাবাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন এই এলাকা আপনাদের। এটির পরিবেশ ধরে রাখার দায়িত্বও আপনাদের। আপনারা প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান হতে ভুমিকা রাখতে হবে। এই সৌন্দর্যবধনের ফলে পথচারীরা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি সবুজ নগরী গড়তে নগরবাসিকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আমন্ত্রিত অতিতিরা বলেন, সবুজায়ন,পরিচ্ছন্ন শহর কে না ভালোবাসে। পরিচ্ছন্ন ও সবুজায়নে আচ্ছাদিত শহর দেখলেই আমরা সবাই মুগ্ধ হই। আনন্দিত হই। এই ধরণের শহরের প্রতি থাকে সকলের ভালোবাসা। সেরকমই একটি শহর গড়ে তুলার দৃড় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছেন মেয়র আ জ ম নাছির। এক্ষেত্রে সকল নাগরিকের সহযোগীতা কামনা করেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায, দক্ষিণ খুলশীস্থ ১নং রোডের দু’পাশে ৪২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আলোকায়ন, সবুজায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনসহ নানামুখী উন্নয়ন করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে মিডিয়া ট্রেন্ডস নামক সংস্থা। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ৫ বছর মেয়াদ পর্যন্ত তারা এই প্রকল্প দেখভাল করবেন।
দীর্ঘদিন ধরে এই স্থানটি ছিল অবৈধ স্থাপনা। দুষ্ট প্রকৃতির লোকদের অবাধ বিচরণস্থল। ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। সড়কে দুর্গন্ধে জনসাধারণ চলাচল করতে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হতো। নগরীতে চলমান সৌন্দর্যবর্ধনের ধারাবাহিকতা এই এলাকায় ফুটপাত টাইলসকরণ, যাত্রীছাউনী, পথচারীদের বসার স্থান, আলোকায়ন ও সবুজায়নের ফলে এখন পথচারীদের আর নাকে কাপড় দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে না। এই প্রকল্পটি পুরোপরি বাস্তবায়িত হলে অত্র এলাকাটি একটি হেলদি এলাকা হিসেবে পরিগণিত হবে।
ইতোমধ্যে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় নগরীর এয়ারপোর্ট রোড, টাইগারপাস রোড, লালখান বাজার, কাজীর দেউরি, আউটার স্টেডিয়াম, আন্দরকিল্লা, জামালখান, চট্টেশ্বরী ও প্রবর্তক মোড়ে আইয়ুব বাচ্চুর সেই রুপালি গিটার, বারিক বিল্ডিং মোড়, নিউমার্কেট মোড়, রেডিসন ব্লূ মোড়, জিইসি মোড়ের মতো গোলচত্বরগুলোকে সাজানো হয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে।
যাত্রীদের অপেক্ষার সুবিধার্থে আধুনিক যাত্রী ছাউনি স্থাপন করা হয়েছে। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের পূর্ব এবং উত্তর পাশের ফুটপাতসহ আউটার স্টেডিয়ামে বাগান নির্মাণ করা হয়েছে। ফুটপাতে বসানো হয়েছে টাইলস,আইল্যান্ড ও মিডিয়ানে লাগানো হয়েছে বাহারি ধরণের ফুলের গাছ। যা নগরবাসি পথ চলতে যেন ফুলের সুবাস পায়।
এছাড়া নগরীর জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল এবং গোল চত্বরে বসানো হয়েছে নগর বরণ্যে ব্যক্তিদের ম্যুরাল। যা আগামী নাগরিকেরা বঙ্গবন্ধু ও নগরের প্রথিত যশা ব্যক্তিদের সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে পারবে।
৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কে নৌকার ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে।
Leave a Reply