২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ । নুর মোহাম্মদ রানা : বাঙালির এক অতিকায় মহাপুরুষ বঙ্গবন্ধু। হাজার বছরের পিছিয়ে পড়া, পশ্চাৎপদ, অপমানিত, পরাধীন বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা বিরল এক সিংহ হৃদয় নেতা ও বাঙালির এক স্বপ্নের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গি পাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মানবিক গুণাবলির শ্রেষ্ঠতম অনুষঙ্গ ঔদার্য ও সভ্যতার সহস্র সহস্র বছরের ইতিহাসে হাতেগোনা কিছু মানুষ এই বিরল গুণের অধিকারী ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু তাঁর বিশাল মানবিক ঔদার্য দিয়েই লক্ষ মানুষের নেতা হয়েছেন, লক্ষ মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে পেরেছেন, তাদের নি®প্রাণ দেহে প্রাণ সঞ্চার করতে পেরেছেন, সর্বোপরি বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন ভূখণ্ড, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের বাস্তবায়ন করে দিয়েছেন। তাঁর অবিচল বিচক্ষণ নেতৃত্ব দ্বারা আমরা অর্জন করেছি আমাদের মহান স্বাধীনতা। পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকা। আর সেই সুমহান ঔদার্যের প্রশ্রয়ে বেড়ে উঠেছিল কতিপয় হীন কৃতঘ্ন অমানুষ।
এই পথভ্রষ্ট কতিপয় উম্মাদ তাঁকে দৈনিকভাবে নিষ্প্রাণ করে দিলেও, তাঁর ঔদার্যের কণামাত্র স্পর্শ করতে পারেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ব ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা যেমন প্রশ্নাতীত, ঠিক তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা একক ও অনন্য। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দল ও মতের অমিলে আমাদের ইতিহাসে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে।
স্বাধীনতার স্বপক্ষে ও বিপক্ষের মধ্যে তফাৎটি দিন দিন বাড়তে থাকে। তারই ফলশ্র“তিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল একদল কাপুরুষ। এরপর কয়েক বার সরকার বদল হয়েছে।
ইতিহাসের পরিক্রমায় ৭৫ এর ঘৃণিত পট পরিবর্তনের পর থেকে তাঁর নাম উচ্চারণ এই দেশে নিষিদ্ধ ছিল। তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এলে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় প্রায় ২১ বছর পর। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ আর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী। তাঁরই তীক্ষ্ণ দূরদর্শিতায় আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ২০২০-২১ সালকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার।
১৭ মার্চ বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বছরব্যাপী এ উদযাপন। মুজিব বর্ষ ঘিরে এরই মধ্যে ২৯৬টি পরিকল্পনা সংবলিত একটি মহা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, দেশের বাইরে সারা পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হবে। এ উদযাপনে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ থেকে শুরু করে সারা পৃথিবীকে সম্পৃক্ত করা হবে। সে অনুযায়ী আমাদের পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে যান বঙ্গবন্ধু। সেখান থেকে ভারতে স্বল্প সময়ের যাত্রাবিরতি দিয়ে ১০ জানুয়ারি দুপুরে তিনি তৎকালীন তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকে আরো স্মরণীয় করতে ১০ জানুয়ারি ২০২০ সালে শুরু হয় মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা।
তবে জন্মশতবার্ষিকীর মূল আয়োজন শুরু হবে ১৭ মার্চ সূর্যোদয়ের ক্ষণ থেকেই। ওইদিন সকালে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। ঢাকা ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একই সঙ্গে অনুষ্ঠান শুরু হবে।
ওইদিন সকালে টুঙ্গিপাড়ায় থাকবে জাতীয় শিশু দিবস নিয়ে নানা আয়োজন। এরপর বিকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে মূল আয়োজন, যাতে প্রকাশ করা হবে জন্মশতবার্ষিকীর বিভিন্ন স্যুভেনির, স্মারক বক্তৃতা, দেশী-বিদেশী শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আয়োজন করা হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। রাজধানীসহ সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সড়ক দ্বীপকে সাজানো হবে রঙিন সাজে। মার্চ ২০২০ থেকে প্রতিবছর বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বক্তৃতার আয়োজন করা হবে। যে বক্তৃতার মাধ্যমে তিনি আপামর জনসাধারণের মাঝে মুক্তির স্বাদ এনেছিলেন।
আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় হচ্ছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান যৌথভাবে উদযাপন করবে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান সাংস্কৃতিক সংস্থা এবং বাংলাদেশসহ উদযাপন করবে। বিশ্বের ১৯৫ দেশে একত্রে উদযাপিত হবে মুজিববর্ষ। ইউনেস্কোর ৫০তম অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
জন্মশতবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বনেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। বঙ্গবন্ধুর নামে ২০২০ সাল থেকে একটি পুরস্কার প্রবর্তন করতে যাচ্ছে ইউনেস্কো। গবেষণা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিকাশে তরুণদের উৎসাহিত করতে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর এই পুরস্কারের জন্য ইউনেস্কোকে অর্থ দেবে বাংলাদেশ। মুজিববর্ষ উদ্যাপনকালে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি পালনের সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন আরও ব্যাপক পরিসরে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হলে, একটি প্রতিবাদী চেতনা সকল অন্যায়-অত্যাচারকে প্রতিহত করতে অনুপ্রাণিত করবে।
প্রায় এক বছর ধরে প্রস্তুতি নিতে গিয়ে অনেক ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে। শুধুমাত্র পালন ও স্মৃতিচারণের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বরং প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করতে হবে। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি থেকে জানা যায়, ১৭ মার্চ অনুষ্ঠানের মূলপর্বে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, বঙ্গবন্ধুর সমসাময়িক সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থাকবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, ইউনেস্কোর সাবেক মহাসচিব ইরিনা বুকোভা ও আরব লিগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসা এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। আমন্ত্রণের তালিকায় থাকা আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, ভারতের কংগ্রেস পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতা সোনিয়া গান্ধী, বিজেপির নেতা ও ভারতের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী এলকে আদভানি, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ প্রমুখ।
এছাড়াও আমাদের মহান নেতাকে বিশ্ব দরবারে নন্দিত করবে। নিউইয়র্ক, লন্ডন, দিল্লী, কলকাতা, বার্লিন, টোকিওসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলো আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে জানাতে সাহায্য করবে। শুধুমাত্র বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাঙালিদের অনুপ্রেরণা করবে না অনেক নাম না জানা অপরিচিত বিদেশি ভাইবোনরাও আমাদেরকে জানতে ও বুঝতে পারবে।
ফলে আমাদের প্রবাসী বাঙালি ভাইবোনের সাথে সম্পর্কটা আরো জোরদার হবে। আমাদের জন্য ১৭ই মার্চ একটি আনন্দের দিন, একটি প্রতিবাদী দিন আর এই দিনটি হোক সকল অন্যায় প্রতিহতের প্রতীক, একটি জাতির মুক্তির প্রতীক ও একটি দেশের আপামর জনসাধারণের উন্নয়নের শিখরে আরোহণের প্রতীক।
এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মুজিববর্ষ উদযাপনের নানা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, বেশ একটা কর্মযজ্ঞ চলছে। যদি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে তা আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে পারি, তা হবে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করার শ্রেষ্ঠ উপায়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এই স্বাধীন দেশে মানুষ যখন পেট ভরে খেতে পাবে, পাবে মর্যাদাপূর্ণ জীবন; তখনই শুধু এই লাখো শহীদের আত্মা তৃপ্তি পাবে।’ বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
সরকার জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সাথে চলবে। আর বাংলাদেশ থেকে শিশু হত্যা, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের রাজনীতি চির অবসানে শেখ হাসিনার সরকার ইতিমধ্যে শিশু অধিকার আইন বাস্তবায়ন করেছেন। মাদক, দুর্নীতি, পাশবিকতা, নিষ্ঠুরতা ও হত্যাকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসলে সামগ্রিকভাবে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।
শেখ হাসিনার বয়সের সাথে সাথে চিন্তাধারার ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে এখন দুর্নীতিবিরোধী অভিযানটি ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুধু নয় একজন সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে উনার সাহসী পদক্ষেপে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে তাতে নিজ দল ও নেতাদের মধ্যেও পরিবর্তন ঘটছে। সে যেই হোক, তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। নিজের দল হোক, বিরোধী দল হোক, আপন হোক, পর হোক সবাইকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
উন্নয়নের সাথে সাথে শিক্ষাঙ্গন ও সামাজিক অস্থিরতার ফলে আমরা বারবার পিছিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে শিক্ষাকে ধাপে ধাপে জাতীয়করণে আনার বিষয়টি ব্যাপক প্রশংসার দাবিদার। ক্যাসিনো, মাদক, সড়ক দুর্ঘটনার শুদ্ধি অভিযান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাহসী ও সৎ রাজনীতিবিদের মর্যাদা দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শিশুদের অধিকারের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিনীত আহবান জানাচ্ছি। শেখ রাসেলের মত একটি নিষ্পাপ শিশু সেদিন বর্বর হত্যাকারীদের হাতে রেহায় পায়নি। রাসেল একটি প্রতীক। জাতির পিতার নিষ্পাপ শিশুপুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতি সুরক্ষার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের শিশুদের প্রতি দায়িত্ব¦ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। শেখ রাসেল জীবন দিয়ে পৃথিবীর নিষ্ঠুর আচরণের জন্য প্রতিবাদ করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
দেশের ইতিহাসে শুধু নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও এ হত্যাকাণ্ড বর্বরোচিত ও জঘন্যতম। বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে। শিশু রাসেলকে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল তা একজন বিবেকবান মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। শেখ রাসেলের নিষ্পাপ দৃষ্টি ও নিথর দেহটিকে কেন্দ্র করে তরুণ প্রজন্মের মাঝে বোধশক্তি জাগ্রত করতে হবে।
মানুষের প্রতি প্রেম ও ভালবাসার কথা সবসময় বঙ্গবন্ধুর আলাপ-আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে আছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নয়, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও এই দিবসটিকে ঘিরে চলছে নানান আয়োজন। এই দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করে দিতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গান, কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক ইত্যাদি আগামী প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের দলিল হতে পারে।
আমাদের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি শিক্ষক সমাজ এবং অন্যান্য পেশার মানুষগুলোও তাদের কর্মকাণ্ডে ও প্রচার-প্রচারণায় বঙ্গবন্ধুকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। একটি গণ্ডির সীমাবদ্ধ না রেখে অসীমের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। এই হোক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের মূল লক্ষ্য।
যেমনটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে বিজয়ের আলোকবর্তিকা বঙ্গবন্ধু আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন তা নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই। আমাদের দেশের মানুষ যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে একে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে পারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এই আমাদের প্রত্যাশা।
লেখক: প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট।
Leave a Reply