আমিরাতে বাংলাদেশি জনসংখ্যা রপ্তানি সমস্যা সমাধানে শেখদের আগ্রহ প্রকাশ

ওবায়দুল হক মানিক, আমিরাত থেকে : আমিরাতের শেখদের অর্থয়ানে বাংলাদেশে জিসিসি সেন্টার,তাফ হিম সার্ভিস ও বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সেন্টার খোলার মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলাদেশি ভিসা বন্ধের ক্ষেত্রে অনেকখানি সমস্যা সমাধান হবে বলে মনে করেন দেশটির জিসিসি সেন্টারের চেয়ারম্যান মান্যবার শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মুওল্লা ও তাফ হিমের চেয়ারম্যান মান্যবর শেখ সাকার বিন মোহাম্মদ বিন হুমাইদ আল নুয়াইমি। তাই আমিরাতের শেখদের
অর্থয়ানে এই তিনটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

যদিও বা এই কাজগুলি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রানালয় করার কথা ছিলো কিন্তু আজ্ঞাত কারনে তা করা হয়নি এবং তা না হওয়াতে দিন দিন বাংলাদেশিরা আমিরাতে নতুন করে জনসংখ্যা রপ্তানিতে বিলম্বিত হচ্ছে বলে তাদের ধারনা। তাই বাংলাদেশিদের পক্ষ হয়ে আমিরাতের শেখরাই এইবার সমস্যা সমাধানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।এতে প্রবাসীর মনে করেন বাংলাদেশ সরকার যেন এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমিরাতে নতুন করে জনসংখ্যা রপ্তিতে এগিয়ে আসেন।

রবিবার দুবাইতে তাদার কার্যালয়ের এমনটা জানান আমিরাতের শেখ পরিবারের এই দুই বিনিয়োগ কারী সদস্য। তারা এই সময় সাংবাদিকদের জানান ২০১২ সালে আমরা যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলাম তা কিন্তু শিক্ষার অভাবে হয়েছে দেশের কারনে নয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাত সকল বিদেশি নাগরিকদের কল্যান,সুখী ও সংস্কৃতির জন্য স্বাগত জানিয়ে থাকে।

তবে বাংলাদেশের সাথে দেশটির খুব একটি সু-সম্পর্ক রয়েছে।তাই আটবছর পর সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের জনশক্তি খাত উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে আম রা যে সকল বিষয়গুলি অনুসরণ করে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি।

তার মধ্যে-

১)আমিরাতের অর্থয়ানে বাংলাদেশে একটি জিসিসি সেন্টার,তাফ হিম সার্ভিস সেন্টার ও বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সেন্টার তৈরি করা।

২) স্বল্প ব্যয়ে আমিরাতে কর্মি পাঠানো এবং জিসিসি সেন্টার এই প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করবে

৩)উভয় দেশের পুলিশ ছাড়পত্র একই স্থান থেকে করা প্রদান করা।

৪)এজেন্টদের থেকে কর্মিদে কর এক মাসের অগ্রিম বেতন প্রদান করা।এবং তা জি সিসি সেন্টার এই প্রক্রিয়া গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করবে।

৫)আমিরাতে কর্মী পাঠানোর আগে কর্মিদের প্রশিক্ষণ দেয়া।যেমন : সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্কে ধারনা দেয়া।দেশটির সংস্কৃতি,মুদ্রা ও আইন সম্পর্কে জেনে রাখা।এই বিষয় গুলি আমাদের তাফ হিম সেন্টার প্রোগ্রা মের আওতায় আসবে।

কর্মিদের আমিরাতে আসার আগে প্রশিক্ষণ অপরিহার্য যাতে করে আমরা সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারি এবং প্রত্যেকের সংস্কৃতি ও আইনকে সম্মান করি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *