শারদীয় উৎসব বাঙালীর উৎসবে পরিণত হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি গতকাল ৫ই অক্টোবর শনিবার শারদীয় দূর্গাপূজার সপ্তমীর দিন সন্ধ্যায় নগরীর আকবরশাহ, কাট্টলী এবং পতেঙ্গার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন, বস্ত্র বিতরণ এবং সনাতন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে শারদীয়া শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় সুজন সনাতনী সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা এবং প্রশাসনের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হয়েছে।
মন্ডপে মন্ডপে সাজসজ্জ্বা, আলোকসজ্জ্বা এবং পূজার্থীদের উপস্থিতি দেখে স্বাভাবিকভাবেই এ কথা বলা যায় যে, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিশ্চিন্তে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে পারছে।
অথচ এক সময় আমরা দেখেছি শারদীয়া দূর্গাপূজা সন্নিকটে আসলেই সনাতনী সম্প্রদায়ের মনে এক প্রকার অজানা আশংকা দেখা দিতো। কখন যেন পূজার আয়োজনের মূর্তি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। কখন যেন মঠ মন্দিরে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শাসনামলে সনাতন ধর্মাবলম্বী থেকে শুরু করে দেশের সকল ধর্মের মানুষ নিশ্চিন্তে তাদের ধর্মীয় কার্যাদি সম্পাদন করছে। এ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যরকম বাংলাদেশ। তাই যে কোন মূল্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ অর্জন আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় সনাতনী সম্প্রদায়ের পাশে থেকে শারদীয়া দূর্গোৎসবে সর্বাতœক সহযোগীতা করার আহবান জানান।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হালিম, এম.এন ইসলাম, নুরুল আবছার, শাহাদাত হাসান, হাজী মোঃ হোসেন, ফরিদুল আলম, মোঃ সুলতান, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, শেখ মামুনুর রশীদ, সমীর মহাজন লিটন, উত্তম শীল, জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, এম ইমরান আহমেদ ইমু, সাজু মহাজন, মোঃ ওয়াসিম, মিজানুর রহমান জনি, মোঃ তানভীর প্রমূখ।
Leave a Reply