সিইউএফএল সড়কে অবৈধ স্থাপনা রেখেই সড়ক সংস্কার, জনমনে ক্ষোভ

সিইউএফএল সড়কে অবৈধ স্থাপনা রেখেই সড়ক সংস্কার

২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। জাবেদুল ইসলাম, আনোয়ারা : চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলা ব্যস্ততম সিইউএফএল সড়কটি দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ সংস্কার কাজের অবহেলায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাত্রী দুর্ভোগ যেন নিয়তিতে পরিণত হয়েছিল।

অবশেষে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় এ সড়ক ব্যবহারকারীদের মনে দেখা দিয়েছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। কিন্তু সড়কটির উভয়পাশে অবৈধ স্থাপনা রেখেই সড়ক সংস্কার করায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সড়কটির মাঝখানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার মূল কারণ হলো সড়কের উভয় পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার ফলে বর্ষাকালে পানি জমে সড়কের মাঝখানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়।

সড়কটির যেখানেই অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেখানেই পানি জমে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে ছোট ছোট পুকুরের আকার ধারণ করে। এ সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীরা ও এলাকাবাসী মনে করেছিল সড়কটিতে পানি নিস্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাস্তাটি প্রশস্থ করে টেকসই সংস্কার কাজ করা হবে।

কিন্তুু অবৈধ স্থাপনা রেখেই সড়কের কাজ শুরু করায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সড়কটি সংস্কারের পর বর্ষা মৌসুমে কয়েক বছর যেতে না যেতে আবারও গর্ত সৃষ্টি হয়ে জনগনের ভোগান্তি পোহাতে হবে।

জানা যায়, সড়কটি সিইউএফএলের নিজস্ব হলেও এই সড়ক দিয়ে কাফকো, ড্যাপ, কেইপিজেড ও বঙ্গবন্ধু টানেলের সকল যানবাহন চলাচল করায় সকলের যৌথ অর্থায়নে ৩ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দে সড়কটির কাজ পেয়েছেন রাজ কর্পোরেশন। চাতরী চৌমুহনী থেকে শুরু করে ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার করা হবে।

আনোয়ারা সচেতন মহলের দাবি, চাতরী চৌমুহনী থেকে শুরু করে বন্দর সেন্টার পর্যন্ত উভয় পাশে অবৈধ দোকানপাট, ইট, কংকর ও বালু ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে কাজ করলেই সড়কটি টেকসই হবে এবং চলাচল অনেকটা নিরাপদ হবে।

অন্যাথায় অবৈধ স্থাপনা রেখে কাজ করলে বর্ষাকালে পানি জমে থাকবে এবং শুকনো মৌসুমে ধূলা বালি জন্য আবারো আগের মতো কষ্ট পোহাতে হবে। সেই সাথে প্রতিদিন কেইপিজেডের গার্মেন্টস কারখানাগুলো ছুটি হওয়ার পর তীব্র যানজট লেগেই থাকবে।

কর্তৃপক্ষকে দ্রুত এই বিষয়ে সিন্ধান্ত গ্রহণ করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে টেকসইভাবে সড়কটি মেরামতের সঠিক বরাদ্দকৃত অর্থের কাজের প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইউএফএলের ভূমি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম লাভলু বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য একাধিক বার আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) বরাবরে আবেদন দিয়েছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবারো উপজেলা প্রশাসনের সাথে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *