চাঁদাবাজি করে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান নয়: কাদের

দেশ ও গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে এমন মন্তব্য করে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মুজিববর্ষে দলের নেতাকর্মীদের ক্ষমতার দাপট না দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি চাঁদাবাজি করে মুজিববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান না করার নির্দেশনাও দেন তিনি।

শুক্রবার (৬ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।

যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুজিববর্ষের কোনো অনুষ্ঠান নিয়ে কেউ যেন চাঁদাবাজির দোকান না খোলে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। চাঁদাবাজি করে এই অনুষ্ঠান যেন কেউ না করে। চাঁদা দিতে হবে, এত টাকা হবে ধার্য করেন, অমুক দোকানদারকে এত দিতে হবে, অমুক ব্যবসায়ীকে এত দিতে হবে, অমুক বাড়িওয়ালাকে এত দিতে হবে- এসব বাড়াবাড়ি কোনো অবস্থায় সহ্য করা হবে না।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, আপনাদের আবারও অনুরোধ করবো আপনারা যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করবেন। মুজিববর্ষের ভাব-গাম্ভীর্য বজায় রেখে চলবেন। বঙ্গবন্ধু যে বিনয়, ধৈর্য, ত্যাগের শিক্ষা দিয়েছেন সেই শিক্ষা থেকে আপনাদের নিতে করতে হবে। আপনারা কোনো অবস্থায় মুজিববর্ষ উদযাপনের নামে এলাকায় মানুষের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করবেন না। মানুষ যেনো আপনাদের কাছ থেকে বিরূপ আচরণ না পায়। কোনো প্রকার হয়রানি শিকার না হয়, কোনো মানুষ কষ্ট না পায় সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন। নিজেরা অর্থ সংগ্রহ করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।

তিনি বলেন, পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ডে করতে কোনো আপত্তি নেই। তবে পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড যেনো আত্মপ্রচারের মাধ্যম না হয়। মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে প্রদর্শন করতে গিয়ে আত্মপ্রদর্শন যেন না হয়। পোস্টারে নাম দিতে পারেন। নিজেদের ছবি দেবেন না। এটা আমরা কঠোরভাবে মনিটর করবো।

কাদের আরও বলেন, চাঁদাবাজি করে যেন কেউ মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান না করে। এটা করলে কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্রের অনুমোদন ছাড়া কোথাও কোনো ম্যুরাল করা যাবে না।

এ যৌথসভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় সংসদ সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, মহানগরের অর্ন্তগত থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দলের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *