রাউজান সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে “বিশ্ব স্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: রাউজান সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস,জাতীয় শিশু দিবস ও মুজিব বর্ষে নানা কর্মসূচি নির্ধারণ করার লক্ষে প্রস্তুতি সভা ও ” বিশ্ব স্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষন” শীর্ষক আলোচনা সভা সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ইমনের সভাপতিত্বে শনিবার (৭ মার্চ) নোয়াপাড়াস্থ রাউজান টাইমস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ নেজাম উদ্দিন রানার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি রাউজানটাইমস ও প্রিয়কাগজ পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমান, দৈনিক প্রথম আলোর রাউজান প্রতিনিধি সাংবাদিক এস এম ইউছুপ উদ্দিন, দৈনিক ভোরের কাগজের রাউজান প্রতিনিধি সাংবাদিক এম রমজান আলী, সংগঠনের সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ রশিদী, মোজাহের আলম, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ আলাউদ্দিন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কবি সরোয়ার রানা, শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শিক্ষক শেখর ঘোষ আপন, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক শিক্ষক শিব নারায়ন চৌধুরী।

সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তবে এ স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জনের এই দীর্ঘ বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তীতিক্ষা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনা জাতিকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছে দেয়। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীণ পাকিস্তানী শাসক৷ গোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে ঢ়াকার রেসকোর্স ময়দানে বিকাল ৩.২০ মিনিটে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকণ্ঠে ১৮ মিনিট ব্যাপী যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাষণ এদেশের জনগণকে দারুণভাবে আন্দোলিত করে এবং মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের ঘোষণা ”এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম-এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” ছিল মূলত স্বাধীনতার ডাক। এই উচ্চারণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কেবল স্বাধীনতার চূড়ান্ত আহ্বানটি দিয়েই ক্ষান্ত হননি, স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখাও দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা মুক্তিকামী মানুষের কাছে লাল-সবুজ পতাকাকে মূর্তিমান করে তোলে।

আর এরই মাধ্যমে বাঙালির ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়। কেবল স্বাধীনতা যুদ্ধে নয়, বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ আজও বাঙালি জাতিকে উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত করে। জাতির জনকের এই সম্মোহনী ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়েই দেশব্যাপী সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের প্রস্তুতি শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ নয়মাস সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করি বহু কাঙ্খিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।সভায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আগামী ২৭ মার্চ শুক্রবার চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *