করোনা ভাইরাস : টেকনাফ সীমান্তে রেড এলার্ট জারী

করোনা ভাইরাস টেকনাফ সীমান্তে রেড এলার্ট জারী

২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস জীবাণু প্রতিরোধে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর, করিডোর ও বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে (রেড এলার্ট) সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের পক্ষে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীমান্ত হয়ে মিয়ানমারে চীনা পণ্য ও নাগরিকদের মিয়ানমারে আসতে খুব একটা বাঁধা নেই। নেই কোন করোনা ভাইরাস জীবাণু প্রতিরোধে ব্যবস্থা। আবার মিয়ানমারের পণ্যও চীনে যাচ্ছে অবাধে।

আর চীন থেকে আসা এসব পণ্য মিয়ানমার হয়ে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে ঢুকছে স্থলবন্দর, করিডোর ও সীমান্ত হয়ে। বিশেষ করে চীনের এসব পণ্য ট্রলারে করে আনছে মিয়ানমারের মাঝি মাল্লা ও সেখানকার নাগরিকরা।

এ কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর ও শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে মিয়ানমার থেকে আসা পণ্য ও পশু বোঝাই জাহাজ, ট্রলারের মাঝি মাল্লা, মিয়ানমারের নাগরিকদের যাতায়াতে (রেড এলার্ট) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এ বিষয়ে পত্র প্রেরণের পর এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তবে কর্তৃপক্ষ জানান, স্থলবন্দর ও শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে আসা মিয়ানমার নাগরিকদের আগে থেকেই করোনা ভাইরাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছিল। পরীক্ষায় মেডিকেল টিম গত ১০ মার্চ পর্যন্ত সেখানে করোনা ভাইরাস জীবাণু বহনকারী কোন রোগী সনাক্ত করা হয়নি।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, করোনা ভাইরাস জীবাণু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি পত্র পাঠানো হয়। তবে এ নিয়ে আগে থেকেই জরুরি মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে এবং তার কার্যক্রম স্থলবন্দর ও করিডোরে কার্যকর রয়েছে।

আবার করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্তে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকের কাছেও পত্র পাঠানো হয়েছে। গঠিত বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিমকে সার্বক্ষণিক কার্যকর রাখা হয়েছে। এই টিমে মেডিকেল অফিসার, উপসহকারী মেডিকেল অফিসার, নার্স, ব্রাদার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে।

এছাড়া পত্রে স্থলবন্দর ও করিডোরে কারো শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি ও কাশির মতো সন্দেহজনক লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালকে অবগত করতে বলা হয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট কতৃপক্ষ জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় বন্দরে (রেড এলার্ট) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্দরে মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা রয়েছে।

বর্তমানে স্থল বন্দরে ২৫টির মতো মিয়ানমারের ট্রলার নোঙরে রয়েছে। এসব ট্রলারে ৭০/৮০ জন মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছে। তবে মিয়ানমার থেকে আসা নাগরিকদের ট্রলার থেকে বাইরে যাওয়ার কোনো ধরনের সুযোগ নেই। এসব নাগরিকরা যেন দেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারেও কড়া নজরদারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *