মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : নোমান

ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, মানবসম্পদের উন্নয়নে জ্ঞান ও শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে ইডিইউ ছাড়াও প্রতিষ্ঠা করেছি চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইডিইউ বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষায় এ দেশের মানুষদের গড়ে তুলবে, এবং শিক্ষার্থীরা উন্নয়নের সম্পদ হয়ে উঠবে এই প্রত্যাশা করেন তিনি।

চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী ‘ইন্টার ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডে ২০২০’ এর সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজ শনিবার (১৪ মার্চ) তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক এ মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান যুগে কর্মক্ষম মানুষের চেয়েও উদ্ভাবনী মানুষের কদর বেশি। তাই নতুন ধারণা নিয়ে উঠে আসতে হবে। পুরনো ধ্যান-ধারণা নিয়ে আজকের জটিল সময়ের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়।

সারাদেশ থেকে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক দলের অংশগ্রহণে গতকাল ১৩ মার্চ শুক্রবার শুরু হয় আগামীর প্রকৌশলীদের এ উৎসব। উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি বলেন, সেরা হতে সম্পদের প্রাচুর্য নয়, প্রয়োজন মেধার বিকাশ। আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার মূল কারিগর মানুষের মেধা। বাংলাদেশি হিসেবে তাই হীনম্মন্যতায় ভোগার কিছু নেই।

এতে সভাপতির বক্তব্যে ইডিইউর উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, প্রতিযোগিতা মেধাকে শাণিত করে। এ ধরণের প্রতিযোগিতার নিয়মিত আয়োজন দেশসেরা মেধাবীদের তুলে আনবে।

ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ভবিষ্যৎ শিল্প বিপ্লবে যাতে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিতে পারে, তার জন্য আমরা শুরু করছি ইডিইউ ফিউচার ফ্যাক্টরি। রোবট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, স্মার্ট মেশিন, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন ডেটা- এ ধরনের এডভান্স প্রযুক্তিতে সেরা হয়ে ওঠার জন্য চর্চা ও অনুশীলনের প্লাটফর্ম দিচ্ছে ইডিইউ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইডিইউর ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসমিন আরা নোমান ও সুপার পেট্রো ক্যামিকেলের সিইও প্রণব সাহা।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ডিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

দু’দিনে ৭টি প্রতিযোগিতায় প্রকৌশলীদের মেধার পরীক্ষা নেয়া হয়। এগুলোর মধ্যে হ্যাকাথনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রেইনডেড জোম্বি দল চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ হয়েছে ইডিইউর মাস্টার কোডার।

ইঞ্জিনিয়ারিং অলিম্পিয়াডে তিন বিভাগেই সেরা হয়েছে ইডিইউর তিনটি দল; প্রোগ্রামিং কনটেস্টে চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইউ ৪১৩ দল, প্রথম রানার আপ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির আইইউটি জিল ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির আইইউটি অপরাগত।

প্রজেক্ট শো-কেইসে চবি’র এস্ট্রো পিরানহাস চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার আপ হয়েছে ইডিইউর রোবো রিফ্ল্যাক্স, দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ইডিইউর এসপি ১৭; পোস্টার প্রেজেন্টেশনে আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের দুটি দল বিজয়ী হয়েছে।

আইডিয়া কনটেস্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, রানার আপ হয়েছে আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম; এবং রোবো সকার কম্পিটিশনে ইডিইউর দুটি দল বিজয়ী হয়েছে।

এছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় টেক টক। এতে চুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আরেফিন, গ্রামীণফোনের প্রোডাক্ট ম্যানেজার মুহাম্মদ জাকারিয়া হায়দার বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের জেনারেল সেক্রেটারি মুনির হাসান, স্যামসাং বাংলাদেশের চিফ টেকনোলজি অফিসার জুবেরুল ইসলাম এবং অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কন্ট্রোলস লি. এর পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার তাওহিদুল ইসলাম।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *