যখন তখন প্রস্রাব পেলে মেপে খান এই ৬ ধরনের খাবার

কোথাও বেরনোর আগে একবার বাথরুমে ঢুঁ মেরে যেতে হয়। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে বা বাসে-ট্রেনে যাতায়াতের সময়ও অন্তত চার-পাঁচ বার রাস্তার ধারে সুলভ শৌচালয় দেখলেই থমকে যেতে হয়। কারণ, মনের মধ্যে একটা আতঙ্ক বেশির ভাগ সময়ই কাজ করে— যদি রাস্তায় প্রস্রাব পেয়ে যায়!

এমন পরিস্থিতিতে ছেলেরা সামলে নিতে পারলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হয় মহিলাদের। কোথাও বেরনোর আগেই তাঁদের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করতে থাকে। এই বিষয়টিকে অনেকেই নিছক ‘বাতিক’ বলে উড়িয়ে দেন।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যা দুর্বল মূত্রস্থলীর (ব্লাডার) লক্ষণ হতে পারে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে কয়েকটি খাবার বা পানীয় কম খাওযাই ভাল। আসুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক…

কফি: সকালে উঠে কফি থান? যদি আপনার ব্লাডার ইনফেকশনের সমস্যা থাকে তাহলে এই অভ্যাস ছাড়ুন। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন ব্লাডারে অস্বস্তি বাড়ায়।

অ্যালকোহল: মদ্যপান করলে যে বেশি প্রস্রাব পায় তা যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন তারা করেন। অ্যালকোহল যে শুধু পেটে অস্বস্তি হয় তা নয়, ব্লাডারেও অস্বস্তি তৈরি করে। তাই সংক্রমণের প্রবণতা থাকলে অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।

সোডা: ব্লাডার ফুলে যাওয়া, মূত্রনালির সংক্রমণ বা ওএবি থাকলে সোডা খেলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই কার্বনেটেড বা সাইট্রাস সোডা থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকুন। তার বদলে যতটা সম্ভব জল খান।

অ্যাসিডিক ফল: শরীরের পক্ষে ফল খাওয়া ভাল। কিন্তু যদি আপনার ব্লাডারের সমস্যা থাকে তাহলে অ্যাসিডিক ফল মূত্রনালির সংক্রমণ বাড়াতে পারে। সে ক্ষেত্রে কমলালেবু, আঙুর, লেবু, টোম্যাটো, পিচ, আপেল, আনারস থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।

স্পাইসি খাবার: যদি আপনার পিজায় এক্সট্রা চিলি ফ্লেকস বা চিকেন কারিতে অতিরিক্ত ঝাল খেতে ভাল লাগে তবে আপনার মূত্রনালিতে সংক্রমণ থাকলে একটু সাবধান থাকতে হবে। কারণ ঝাল, মশলাদার খাবার ব্লাডারে অস্বস্তি তৈরি করে।

কৃত্রিম সুইটেনার: ক্যালরির পরিমাণ কমানোর জন্য অনেকেই খাবারে চিনির বদলে কৃত্রিম সুইটেনার যোগ করেন। তবে চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, যদি মূত্রনালিতে সংক্রমণ থাকে তাহলে কৃত্রিম সুইটেনার থেকে দূরে থাকুন। এতে সংক্রমণ বাড়তে পারে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *