টাঙ্গাইলের নাগরপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমামুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে উক্ত কলেজের এক প্রভাষককে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনায় ওই কলেজের শিক্ষিকা আলমামুনসহ তিনজনকে আসামি করে নাগরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিকুর রহমান বিপ্লব ও মাইক্রোবাসচালক বাবু। পুলিশ শুক্রবার সকালে বাবুকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাগরপুর সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক শামীমা ইয়াসমিন বৃহস্পতিবার রাতে চশমা মেরামত করতে গেলে দোকানে কাউকে না পেয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় আলমামুন দোকানে এসে বসলে শিক্ষিকা তাকে দোকানদারের কথা জিজ্ঞেস করেন। এ সময় শিক্ষিকার সঙ্গে মামুন খারাপ ব্যবহার করেন। শিক্ষিকা এর প্রতিবাদ করলে বাবু ও বিপ্লব এগিয়ে এসে মামুনের সাথে যুক্ত হয়ে শিক্ষিকাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও মারতে উদ্যত হন। এক পর্যায়ে টান দিয়ে শিক্ষিকার মুখের হিজাব খুলে ফেলেন তারা।
এব্যপারে কলেজ শিক্ষিকা শামীমা ইয়াসমিন তার ফেসবুক পেজে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ নিয়ে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যেখানে আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও নিরাপদ নই তাহলে সাধারণ মেয়েদের অবস্থার কথা একবার চিন্তা করুন। আর আমি এজন্যই এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে সাবেক ভিপি আল-মামুন ঘটনা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক এ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নাগরপুর থানার (ওসি) আলম চাঁদ বলেন, নাগরপুর সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক শামীমা ইয়াসমিন শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে সাবেক ভিপি মামুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply