প্রযুক্তির যতো উন্নত হচ্ছে দিন দিন বেড়ে চলছে নানা রকমের অপরাধ যুক্ত কাজ। শুধুই কি তাই পড়াশোনা না করে ভূয়া সার্টিফিকেট বানিয়ে রাতারাতি অর্জন করে নিছে গ্রাজুয়েশন সার্টিফিকেট। কিচু অসাধু চক্রের কল্যাণে টাকায় মিলছে এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স, মাস্টার্স এর মতো ডিগ্রি যুক্ত সার্টিফিকেট!
এতে দেশের শিক্ষার উন্নয়ন ও অগ্রগতি মান দিন দিন ছোট হয়ে পড়েছে। তাঁদের সাথে যুক্ত হয়েছে কিছূ অসৎ লোক যারা এসব ভূয়া সার্টিফিকেটধারী লোকজনকে চাকরি দিতে নানাভাবে সহযোগিতা করেন। ফলে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে কোনো চাকরি হচ্ছেনা। বেড়ে চলেছে বেকারত্ব।
এছাড়াও কিছু কম্পিউটার প্রিন্টের দোকান রয়েছে যারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব এডুকেশন সার্টিফিকেট, সনদপত্র, জম্মনিবন্ধসহ সবকিছু জাল স্বাক্ষর ও সীলমোহর আসল কপির মতো করে তৈরি করে আসছে।
এসব বানানো জাল কাগজপত্র অফিস আদালতে বুঝা মুশকিল। কেউ এসব সার্টিফিকেট চ্যালেঞ্জ করলে তখনই ধরা পরে এটা আসল নাকি নকল। এছাড়াও জাল কাগজপত্র দিয়ে চলে নানা অনৈতিক ও অপরাধমুলক কর্মকান্ড।
ওরা সংখ্যায় কতজন তা জানা না গেলেও ওদের দলের দু’জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে রাউজান থানা পুলিশ। গত ১০ অক্টোবর রাতে পৃথক অভিযানে নগরীর দুটি দোকান থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত জাল সনদ কারবারি হলো রাউজান উপজেলার উরকিচর ইউনিয়নের আবুল কালামের পুত্র মোহাম্মাদ মাহাফুজ (৩৬) ও পূর্ব মাদার বাড়ি এলাকার মৃত জাফর আহম্মদের পুত্র রাজু আহম্মদ হিরু (৩২)।
একজনকে মোহরা গোলাপের দোকান তমা প্রিন্টার্স থেকে অপরজনকে মাদারবাড়ি নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান জাল সনদসহ ব্যবহৃত কম্পিউটার, প্রিন্টিং মেশিন, লেমিনেশন মেশিন উদ্ধার করে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহ ও এসআই কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ারসহ একদল চৌকস পুলিশ সদস্য।
রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, উরকিচর ইউনিয়নের অপ্রাপ্ত বয়সী কন্যার জম্মনিবন্ধে স্থানীয় চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুর জব্বার সোহেলের জাল স্বাক্ষর করে প্রাপ্ত বয়স বানানোর ঘটনায় পুলিশের জালে আটকা পরে এসব মূল হোতারা।
তিনি জানান, উরকিচর ইউনিয়নে আবুল করিম ও নাদিয়া আলম নামে একটি বিয়েতে জম্ম নিবন্ধন নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এই বিয়ের নকল জম্ম নিবন্ধন করে তারা ফেঁসে যায়।
এই জম্ম নিবন্ধ সোহেল চেয়ারম্যান চ্যালেঞ্জ করলে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের ১২ অক্টোবর শনিবার চট্টগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি কেপায়েত উল্লাহ।
Leave a Reply