নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ বিতরণ করছে মিরসরাই উপজেলা পরিষদ

আশরাফ উদ্দিন, (চট্টগ্রাম) মিরসরাই:::করোনা প্রতিরাধে ব্যাক্তি থেকে ব্যাক্তির নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা এই মূহর্তে খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। সারাদেশ লক ডাউন করা হয়েছে, অফিস আদালতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আপদ কালিন ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রনোদনা ঘোণনা করেছন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সব কিছুকে ফেছনে ফেলে ত্রাণ সহায়তার নামে গণ জামায়েত সকল প্রচেষ্টাকেই যেন ব্যার্থ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। অপরিকল্পিত ও সমন্বয়হীন ত্রাণ বিতরণ করোনা ছড়ানোর জন্য এক মহা উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ত্রান বিতরন করা হচ্ছে আগথেকেই জামায়াত হচ্ছেন শত শত লোক, তারা একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছেন, তামাক খাচ্ছেন, পান ছিবুচ্ছে আর খোশ গল্পে মেতে উঠেছেন। ফলে ত্রান বিতরণ কে কেন্দ্র করে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর সুযোগ মারাত্বক ভাবে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

সবাই যখন অনিয়ম ও অপরিকল্পিত ত্রাণ সহায়তার নামে রোগ ছড়ানোর ঝুকি বাড়াচ্ছেন ঠিক তখনি ব্যাতিক্রম দেখা গেল মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যন জসিম উদ্দিনের উদ্যোগ।

তিনি কাউকে একত্রিত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন না। ইউনিয়ন পদিষদের মেম্বার চেয়্যাম্যানদের মাধ্যমে একদিন আগে উপকার ভোগিদের তালিকা গ্রহন করছেন। ওয়ার্ড মেম্বাররা তাদের তৈরিকৃত তালিকা থেকে সঠিক উপকারভোগিদের তালিকা হস্তান্তর করছেন। তালিকা দেখে টোকেন বন্টন করে মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিটের নোটিশে নিজ হাতে উপকার ভোগীদের হাতে ত্রাণ তুলে দিচ্ছেন।

উপজেলা চেয়্যারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, নিরাপদ দূরত্ব বজার রাখাটা অত্যন্ত জটিল বিষয়। তার পর ও যতোটুকু সম্বব আমারা চেষ্টা করছি। আমাদের দেশে ঘনবসতি বেশি, জনসংখ্যা সতেচন নয়। বারবার তাগাদার পরেও তাদের বুঝানো যাচ্ছে না। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার, চকিদার সহ আমাদের সেচ্ছাসেবীদের সাথে নিয়ে নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করে ত্রাণ বিতরণ করছি। আজকে আমরা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১২ শত ৭০ জনকে ত্রান সহায়তা করিছি। আগামী তিন দিনে মোট ৩৬শ পরিবারকে ত্রান সহায়তা করবো।

উপজেলা ভাইসচেয়াম্যান আলাউদ্দিন জানান, ত্রাণ দেওয়ার সময় আমরা গোল চিহ্ন করে দূরত্ব বজার রাখার চেষ্টার করছি তবু হিমশিম খেতে হচ্ছে। সাথে পুলিশ পোর্স থাকলে বিষয় টা আরো সহজ হতো।

১৪নং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার কলিম উদ্দিন জানান, ত্রাণ দেওয়ার সময় পুলিশ আসার কথা থাকলেও পুলিশ কখনো আসে না। আমরা এতগুলো লোক সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। সন্ধ্যার পর গ্রামের বাজার গুলোতে মানুষের আড্ডা আগের মতোই আছে। পুলিশ মাঝে মাঝে টহল দিলে মানুষের মনে ভয় কাজ করতো বাজারে আসলের কাজে সেওে দ্রুত বাড়ি ফিরে যেত। কিন্তু পুলিশ আসেই না, টহলও দেয়না।

মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মজিবুর রহামান বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। প্রতিদিন গ্রামিন হাট বাজার গুলো টহল দিচ্ছি, কোথাও কোন জামায়েত দেখলে সাথে সাথে দাওয়া দিচ্ছি। মাইকে পাবলিসিটি করছি, মানুষকে সচেতন করা চেষ্টা করছি। ত্রান বিতরনের সময় আদের জানালে আমরা যাওয়ার সুযোগ থাকে না। আমাদের জানালে অবশ্যই ফোর্স দেওয়া হবে সহায়তা করার জন্য। গ্রামের হাট বাজার গুলো টহল দেওয়ার সময় মানুষ সরে গেলেও আমরা স্থান ত্যাগ করার সাথে সাথে আবার মানুষ জমায়েত হচ্ছে। এতে কাজ হচ্ছেনা আমাদের চেষ্টার। মানুষকে সচেতন করার জন্য সকলেই মিলে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *