নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি::: শনিবার (১১ এপ্রিল) রাউজান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রবেশপথ অতিক্রম করেই চোখে পড়েছে সাঁড়িবদ্ধ ভ্যানগাড়ি। ভ্যানের উপর আলু, বরবটি, টমেটো, মরিচ, বেগুনসহ ১৪ পদের সবজি। সাথে মাছও রাখা আছে। দুই পাশে সাঁড়িবদ্ধভাবে রাখা ভ্যানগাড়িগুলোতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ক্রেতারা প্রতি আইটেমের সবজি গ্রহণ করছে। তবে এজন্য তাদের কোনো মূল্য পরিশোধ করতে হচ্ছেনা।
করোনা পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষ ও এলাকার গরীব, দুঃস্থ পরিবারগুলো যাতে কষ্ট না পায় বিষয়টি বিবেচনা করে রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র, উদীয়মান সমাজসেবক ফারাজ করিম চৌধুরী মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন।
শনিবার সম্পূর্ণ ‘ফ্রি’ তে অস্থায়ী মাছ ও কাঁচাবাজারের উদ্ধোধন করেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ , রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র ২ জমির উদ্দীন পারভেজ, রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেফায়েত উল্লাহ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক দিপলু দে দিপু, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি সাইদুল ইসলাম।
সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, রাউজানে বিনামূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার চালু করা হয়েছে। যেখানে মাছ-শাকসবজি সহ বিভিন্ন মৌসুমী ফল আছে। রাউজানের কয়েকটি এলাকায় ১ দিন পরপর ভ্যানগাড়ি নিয়ে আপনাদের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করবে এসব দ্রব্যসামগ্রী। একজন ব্যক্তি প্রত্যেক দ্রব্য থেকে ১ কেজি করে নিতে পারবেন। ১১ এপ্রিল শনিবার সকাল থেকে রাউজানের মুন্সির ঘাটা, জলিল নগর সহ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড, ৮ নং ওয়ার্ড ও ৯ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে বাজারের এই গাড়ীগুলো গিয়েছে। এ সময় এলাকার নিন্মবিত্তরা বিনামূল্য আলু, টমেটো, মিষ্টিকুমড়া, মাছসহ বিভিন্ন ধরনের সব্জি বিনামূল্য সংগ্রহ করেন।
আগামীতে বিভিন্ন ইউনিয়নেও যাবে। হয়তো জনপ্রতি প্রত্যেক মানুষের কাছে এই সেবা পৌঁছাবে না। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি অন্তত হাজার খানেক মানুষকে হলেও সহযোগিতা করার। আমাদের এই কার্যক্রমটি করতে সহযোগিতা করেছেন রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ ও সাবেক ছাত্রনেতা দীপলু দে দীপু।
বিনামূল্য সব্জি ক্রয় করতে আসা একাধিক মানুষ এই মানবিক উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন থাকায় পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করার সামর্থ্য ছিলনা তাদের। এই পরিস্থিতিতে সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীর এই সহায়তা খেটে খাওয়া লোকজন ও নিন্মবিত্তদের জন্য স্বস্তির।
তারা বলেন, ফারাজ করিমের নাম লোকমুখে অনেক শুনেছি। আমাদের দুঃসময়ে তিনি যেভাবে পিতার পাশাপাশি গরীব ও দুঃস্থদের পাশে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন তাতে করে উনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আল্লাহ উনাকে আরো বেশী করে মানুষের কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দিক।
উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতিতে রাউজানের ১৪ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ ৩৫ হাজার পরিবারে রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী নির্দেশনায় সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীর উদ্যোগে মানবিক সহায়তা হিসেবে খাদ্য দ্রব্য প্রদান করার কর্মসূচী চলমান রয়েছে।
Leave a Reply