যশোর প্রতিনিধি:::যশোরের মণিরামপুরে দেনার দায়ে ও রোগের জ্বালা সইতে না পেরে এক পুরুষ ও এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার রাতে উপজেলার খানপুর ইউপির ঘুঘুদা ও মুন্সিখানপুর গ্রামে পৃথক ঘটনা ২টি ঘটে।
খবর পেয়ে রবিবার সকালে লাশ দুইটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। পৃথক ঘটনায় থানায় দুইটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নিহত তারক দাস (৫৫ )ঘুঘুদা গ্রামের মৃত জগবন্ধু দাসের ছেলে এবং আয়েশা বেগম (৩৫) মুন্সি খানপুর গ্রামের গোলাম রব্বানী তোতার স্ত্রী।
মণিরামপুর থানার (এসআই) সৈয়দ আজাদ আলী বলেছেন, তারক দাস চুড়ি-ফিতা বিক্রি করতো। সংসারের বোঝা টানতে তিনি বেশ কিছু টাকা ঋণ হয়ে পড়ে সে। প্রায়ই পরিবারের লোকজনকে সে আত্মহত্যার কথা বলত। শনিবার রাতে ওষুধ কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় তারক। রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। পরে বরিবার সকালে বাড়ির পাশে মেহগনী গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বজনরা তার লাশ উদ্ধার করেছিলেন। তারক গলায় রশি জড়িয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে মুন্সিখানপুর গ্রামের আয়েশা বেগম দীর্ঘদিন রোগাক্রান্ত ছিলেন। গত ১০/১২ বছর ধরে স্বামী তার কোন খোঁজ নেননি। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে শনিবার রাতের কোন একসময় তিনি গলায় রশি পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। রোববার সকালে স্বজনরা তার লাশ উদ্ধার করেন বলে জানান এসআই আজাদ।
আজাদ বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পৃথক ঘটনায় থানায় দুইটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টা/এম আর/নিলয়
Leave a Reply