২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে প্রথম করোনা পরীক্ষার ল্যাব বিআইটিআইডিতে গতকাল শুক্রবারের রিপোর্টে নগরীর পাহাড়তলী বাঁচা মিয়া রোডের বাঁচা মিয়া কন্ট্রাক্টর বাড়ির মৃত জাফর আহমদের ছেলে নুরুল আলম (৬৫) ‘র করোনা পজেটিভ আসে।
তবে তিনি আর বেঁচে নেই। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগের দিন গত ৭ মে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ফলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে মৃত্যুর তালিকায় আরো একজন যুক্ত হল। শুক্রবার ৮ মে রিপোর্ট অনুযায়ী চট্টগ্রামে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৬ জনে ঠেকেছে।
জানা যায়, শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ নুরুল আলম গত ৬ মে বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন।
পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একইদিন বিকালে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালেই মারা যান।
তার মৃত্যুর তথ্যটি আজ ৯ মে শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি জানান, রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির মরদেহ চমেক হাসপাতালেই ছিলো।
গতকাল রিপোর্টে মৃত ব্যাক্তিটির করোনা সনাক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী দাফন করতে বলা হয়েছে এবং বৃদ্ধার সংস্পর্শে আসাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের বাড়িও লকডাউন করা হচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা টেস্টের ২য় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাবে আরো ৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই ল্যাবে মোট ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরমধ্যে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডের ৩৫ বছর বয়সী এক পুরুষ করোনায় আক্রান্ত আছে। বাকি ছয়জন লক্ষীপুর জেলার বাসিন্দা বলে তিনি জানায়।
নতুন একজনসহ এনিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ায় ২০৭ জনে। এর মধ্যে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোট ৪৯ জন করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স
Leave a Reply