বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ছাড়া কোনো বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল তার কর্মসূচি কাভার করে না জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর বার্তা প্রধানদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা আমাকে নিয়েও একটু ভাবুন।
তিনি বলেন, পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। আমার অনুষ্ঠানে শুধু বিটিভি যাচ্ছে, বিটিভি হয়তো বড় একটা অংশ কাভার করে রুরাল এরিয়ায়। আরবান এরিয়ায় প্রাইভেট চ্যানেলগুলোই মানুষ দেখে থাকে। এ কারণে আমাদের একটা বড় গ্যাপ হচ্ছে, এই গ্যাপগুলো না থাকুক-এটাই আমার প্রত্যাশা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তা প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখানে অপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ থাকব যদি আমি আপনাদের সবার সদয় ও আন্তরিক সহযোগিতা না পাই। মন্ত্রী মহোদয় এই মন্ত্রণালয়ের অভিভাবক, উনি রাষ্ট্রের সকল গুত্বপূর্ণ তথ্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জাতীয় ইস্যুতে বলে থাকেন। আমার ওইভাবে এত কথা বলার প্রয়োজনীয়তা নেই। তারপরও উনি যখন থাকেন না অথবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলোতে যান…মন্ত্রী মহোদয় সব অনুষ্ঠানে যেতে পারেন না, তখন আমাদের বলেন, আমি যাই। ওইসব প্রোগ্রামে দেখি আমাদের বিটিভির ক্যামেরা-ওরা যায়। কিন্তু আমাদের বেসরকারি প্রায় ৩৫টি চ্যানেল তাদের তেমন দেখা যায় না।
মুরাদ হাসান বলেন, ‘আমার কর্মসূচিগুলো আমাদের পিআরও, পিএস, এপিএস আপনাদের কাছে পাঠাবেন। এক্ষেত্রে আমার অনুরোধ হলো আপনারা যদি আপনাদের ক্যামেরা, রিপোর্টার পাঠান তবে শূন্যতাটা কাভার হবে। এটা আমি পাঁচ মাস ধরে অনুভব করছি, আমার উপলব্ধিতে বারবার এসেছে।’
মুরাদ হাসান বলেন, আজকে থেকে আপনাদের সঙ্গে সম্পর্কটা ডেভেলপ যেন হয়। আন্তরিক দৃষ্টি আমার প্রতি যেন থাকে যে, মুরাদ ভাই কোথায় গেল, তার আজকে কী প্রোগ্রাম? আপনারা আমাকে নিয়েও একটু ভাবুন। এটা আমার জন্য অনেক ভালো হবে।’
এ সময় আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, ‘আমাদের ডাকার চিঠিটা ফরমাল হয়ে গেছে। টেলিভিশনগুলো বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। ব্যবসা-বাণিজ্য খারাপ। তথ্যমন্ত্রীকে আমরা বিভিন্ন সমস্যার কথা বলছি, আপনাকেও বলব, আপনাকেও দায়িত্ব নিতে হবে।’
তার এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এগুলো অলমোস্ট জানি। নিশ্চয়ই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী এই দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই দায়িত্ব নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। আমি প্রমাণও করতে চাই, আমার আন্তরিকতা কতটুকু। আপনাদের পাশে থাকার জন্য আমার মানসিকতা কতটুকু। সেটা নিশ্চয়ই কাজের সঙ্গে সঙ্গে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রমাণ হবে।
Leave a Reply