গড় বিল নিয়ে আতংকিত না হওয়ার জন্য নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনের মাধ্যমে গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শামছুল আলম।
গতকাল এবং আজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘‘বিদ্যুতের গড় বিল নিয়ে খোরশেদ আলম সুজনের উদ্বেগ” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর আজ রবিবার (১৭ মে) সকালে বিউবো’র প্রধান প্রকৌশলী মোবাইলে ফোন করে সুজনের মাধ্যমে গ্রাহকদের প্রতি এ অনুরোধ জানান।
এ সময় বিউবো প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শামছুল আলম খোরশেদ আলম সুজনকে বলেন গতকাল এবং আজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিদ্যুতের গড় বিল নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ আমার গোচরীভূত হয়েছে। আপনার মাধ্যমে চট্টগ্রামের পোস্টপেইড মিটারের গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে চাই যাদের নিকট অতিরিক্ত বিল প্রদান করা হয়েছে তাদের আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। করোনাভাইরাস সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিভাগের সিদ্ধান্ত ছিলো মিটার রিডারদের গ্রাহকের বাড়ীতে না যাওয়া। মিটার পরিদর্শন না করে বিল প্রস্তুত করার কারণে কিছু কিছু গ্রাহকদের নিকট অতিরিক্ত বিল প্রদান করা হয়েছে যা দুঃখজনক। যদি কোন গ্রাহক মনে করেন তার মিটারের বিপরীতে অতিরিক্ত বিল প্রদান করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে নিকটবর্তী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিদ্যুৎ বিলটি সংশোধন করে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ ক্ষেত্রে কোন সারচার্জ গ্রহণ করা হবে না বলেও জানান বিউবো প্রধান প্রকৌশলী।
তবে কোন গ্রাহক যদি মনে করেন তাকে অতিরিক্ত বিল প্রদান করা হয়েছে তাহলে ঐ গ্রাহককে বিদ্যুতের মিটারের রিডিং লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষন করার আহবান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কোন গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হোক সেটা কখনোই বিদ্যুৎ বিভাগ চাইবে না। সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সতর্ক আছি। বরংচ করোনার কারণে কোন গ্রাহক যথাসময়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রে সারচার্জবিহীন ভাবে গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহনেরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আলাপচারিতায় সুজন জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বিউবো প্রধান প্রকৌশলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এছাড়াও খোরশেদ আলম সুজন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে দেওয়ানহাট, সুপারিওয়ালাপাড়া, পাঠানটুলী, কদমতলী, মাদারবাড়ী এলাকায় ওয়াসার ঘোলা পানি সরবরাহের কারণে গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়ছে বলে অভিযোগ করেন। এসব পানি পান করা তো দুরের কথা গৃহস্থালি কাজেও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। যার কারণে ঐ সব এলাকার গ্রাহকরা সীমাহীন দূর্ভোগে দিনাতিপাত করছে। করোনাভাইরাস কেন্দ্রিক পরিস্থিতিতে তাদের দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া রমজান মাস হওয়াতে তাদের ইবাদতও বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তাছাড়া নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং, পতেঙ্গাসহ অন্য যে সকল এলাকায় ওয়াসার স্বাভাবিক পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে সে সকল এলাকায় ভাউচারের মাধ্যমে হলেও গ্রাহকদের কাছে নিয়মিত পানি সরবরাহ প্রদানের জন্য ওয়াসার এমডি’র নিকট বিনীত অনুরোধ জানান।
২৪ ঘণ্টা/এম আর
Leave a Reply