নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে রাউজান উপজেলা প্রশাসন। রাউজানে ২টি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি অস্থায়ী ভাবে আরো ১০৮টি সহ ১১০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া মানুষকে সতর্ক করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ জানান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এবং রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর পরামর্শক্রমে উপজেলা দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয়। রাউজানে ১৪টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভা করে স্ব স্ব ইউনিয়নে দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
রাউজানে দুর্যোগ মোকাবেলায় রাউজান থানা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, আনসার প্রস্তুত আছে। রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টিম ও এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেটসসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন শুকনো খাবার প্রস্তুত রেখেছে।
উপজেলায় বিদ্যুৎ সেবার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একাধিক টিম কাজ করবে। রাউজানের প্রতিটি ইউনিয়নে স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের সার্বিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে করো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ সার্বিক সহায়তা পায়।
তাছাড়া ১১০টি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও প্রয়োজনে মানুষ যাতে নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য রাউজানের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্টানসমূহের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্টানসমূহে দপ্তরি, নৈশ প্রহরী দের চাবি নিয়ে বিদ্যালয়ে অবস্থান করতে বলা হয়েছে যাতে করে মানুষ দুর্যোগময় মুহুর্তে সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরো জানান, ঘুর্ণিঝড়ের কারণে এলাকায় মানুষ যাতে নিরাপদ থাকে সেজন্য রাউজানের সাংসদ সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীর পরামর্শে উপজেলায় দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় রাউজান উপজেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।
২৪ ঘন্টা/এম আর
Leave a Reply