নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের রাউজানে করোনা উপসর্গ (জ্বর ও শ্বাসকষ্ট) নিয়ে মোহাম্মদ এরশাদ (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার রাউজান সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর গ্রামের মরহুম নাজমুল হুদা চৌধুরী বাড়িস্থ মোহাম্মদ ইদ্রিচের পুত্র।
গতকাল ১৩ জুন শনিবার রাতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার পর এরশাদকে প্রথমে রাউজান গহিরাস্থ জে কে মেমোরিয়ালে নিয়ে যায় তার স্বজনরা। এ সময় এরশাদের শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে তার করোনা করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
পরে এরশাদকে নিয়ে তার স্বজনরা রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেই রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এরশাদের মৃত্যুর সংবাদ জানতে পেরে রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর উদ্যোগে ও সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীর ব্যাবস্থাপনায় রাউজানে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের লাশ দাফন-কাফনে গঠিত বিশেষ স্বেচ্ছাসেবী টিমের প্রধান সমন্বয়ক জমির উদ্দিন পারভেজের নেতৃত্বে সমন্বয়ক সাইদুল ইসলামসহ টিমের সদস্যরা এরশাদের লাশ দাফন-কাফন কাজের প্রস্তুতি নেন।
১৪ জুন রবিবার সকাল পৌনে দশটার দিকে মোহাম্মদপুর গ্রামের প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল আবদুল জলিল শাহ (রহ:) এর মাজার চত্বরে নামাজে জানাজা স্বেচ্ছাসেবী টিমের সদস্য ও উপজেলা জামে মসজিদের খতিব মৌলানা এম এ মতিনের ইমামতিতে সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে লাশের দাফন কাজ সম্পন্ন করেন স্বেচ্ছাসেবী টিমের সদস্যরা।
এ সময় বিশেষ স্বেচ্ছাসেবী টিমের প্রধান সমন্বয়ক জমির উদ্দিন পারভেজ, সমন্বয়ক সাইদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ফোরকান, যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ছাবের, স্বেচ্ছাসেবী টিমের নাছির উদ্দিন, বখতেয়ার, শফি, সম্রাট, ইউসুফসহ এরশাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মোহাম্মদপুর গ্রামের মরহুম নাজমুল হুদা চৌধুরী বাড়ীর মোহাম্মদ ইদ্রিচের তিন সন্তানের মধ্যে এরশাদ ছিল পরিবারের বড় সন্তান। ২০০৭ সালে এসএসসি পাশের পর ইউএসটিসি থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে ব্যাবসায় জড়িয়ে পড়েন এরশাদ।
বন্ধু বৎসল ও বিনয়ী হিসেবে এলাকায় সকলের প্রিয় পাত্র ছিল সে। গত কিছুদিন যাবৎ জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। শনিবার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তার অকাল মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেয়।
রাউজান সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ফোরকার এরশাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে শনিবার রাতে এরশাদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তার। এরশাদ খুবই শান্ত প্রকৃতির ছিল।
তার মৃত্যুর পর সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী ও সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীর উদ্যোগে গঠিত বিশেষ স্বেচ্ছাসেবী টিমের প্রধান সমন্বয়ক জমির উদ্দিন পারভেজের নেতৃত্বে টিমের সদস্যরা দাফন-কাফনে অংশ নেয়।
২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স
Leave a Reply