আলীউর রহমান:চট্টগ্রামে প্রশাসনের তালিকা করা ২০টি বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ৫৮৮টি শয্যা রয়েছে। তার মধ্যে অর্ধেক শয্যাই খালি।
এ সংক্রান্ত সরকারি কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এখন সব ব্যবস্থা গ্রহন করছি। বেসরকারি হাসপাতাল কয়টা সিট কেন খালি রাখছে সব তথ্য নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, কাউকে হয়রানি করা নয়। আমরা চেষ্টা করেও বেসরকারি হাসপাতালে শত ভাগ করোনা রোগী চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারছি না।
মিজান বলেন, হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হচ্ছে। এত কিছুর পরও করোনা রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।তারা আইসিইউতে চিকিৎসক নেই বলে সিট খালি রেখেছে। পার্কভিউ ও ম্যাক্স হাসপাতাল আইসিইউতে রোগী রেখেছে। আমরা তাদের বুঝিয়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। সব বেসরকারি হাসপাতালে সব মিলিয়ে ১২১টি আইসিইউ সিটের মধ্যে মাত্র ২৫টিতে রোগী ভর্তি আছে। বাকিগুলো খালি। আমরা চাইলে পুলিশ পাঠিয়ে ধরে এনে বাধ্য করতে পারি।’
চট্টগ্রামে করোনা রোগী প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল শনিবার ২২২ জন এবং আজ রবিবার ২৬৯ জন নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের একটি অংশের আইসিইউ সেবা জরুরি হয়ে পড়ছে। কিন্তু চট্টগ্রামে আইসিইউ সেবার অপ্রতুলতার কারণে জটিল রোগী মারা যাচ্ছে। এ কারণে যাদের সামর্থ্য আছে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছুটে যাচ্ছে।
করোনার চিকিৎসা নিয়ে স্বাচিপের গঠিত কমিটির সমন্বয়ক ডা. আনম মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার দায়িত্ব সরকার নিলেও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের দায়িত্ব সরকার নিচ্ছে না। তাই বেসরকারি চিকিৎসকরা সেবা দিতে রাজি হচ্ছে না।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘তারা সারা বছর ব্যবসা করছে। এই টাকা তো সরকারকে দেয়নি। জাতির এই জরুরি প্রয়োজনে তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। তাদের সুরক্ষার বিষয়টি সম্পর্কে একটি প্রস্তাব আমরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠিয়েছি। তারা চিকিৎসক সংকটসহ নানা টালবাহানা করে করোনা রোগীর চিকিৎসার দায় এড়াতে চাচ্ছেন।’
২৪ ঘণ্টা/এম আর
Leave a Reply