পেঁয়াজের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে খাদ্য তালিকা থেকে পেঁয়াজকে বাদ দেওয়ার আহবান জানিয়ে পেঁয়াজ ন খাইয়্যুম পেঁয়াজ ন কিইন্যুম শীর্ষক ব্যতিক্রমী গণপ্রচারনার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি আজ ২০ অক্টোবর রবিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ পাইকারী ব্যবসা কেন্দ্র খাতুনগঞ্জের হামিদউল্লাহ বাজার থেকে গণপ্রচারনার উদ্বোধন শেষে ব্যবসায়ী এবং জনসাধারনের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ভারতের পেঁয়াজ সরবারহকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করে অযৌক্তিকভাবে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ যখনই বাজারে অভিযান পরিচালনা করে তখনই কেবল পেঁয়াজের দামটা ক্ষণিকের জন্য কম থাকে। ম্যাজিষ্ট্রেটগণ অভিযান পরিচালনা করে চলে গেলে পূণরায় সিন্ডিকেট মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়।
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের কোন সংকট নেই। তারপরও একশ্রেণীর অর্থলিপ্সু ব্যবসায়ীগণ অহেতুক সিন্ডিকেট কারসাজি করে কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে জনগনের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যা এক প্রকার অনৈতিক এবং গর্হিত কাজও বটে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন আমদানীকারক, বিক্রেতা, সরবরাহকারী সবাই এ দেশের মানুষ কিন্তু তারপরও জনগনের নিত্য ব্যবহার্য্য একটি পণ্যকে নিয়ে কেন এভাবে ছিনিমিনি খেলা করা হবে।
তিনি আরো বলেন শুধু পেঁয়াজই নয় বিভিন্ন মৌসুমে ব্যবসায়ীরা সরবরাহের অজুহাতে একেক সময় একেক পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে জনগণকে কষ্ট দেয় আর সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চক্রান্তে লিপ্ত থাকে। ইতিমধ্যে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়ে খাদ্য তালিকা থেকে পেঁয়াজকে বাদ দেওয়ার জন্য বাবুর্চিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দ আজ হামিদউল্লাহ বাজার থেকে পেঁয়াজ বর্জন করার কর্মসূচী উদ্বোধন করেছি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বাজারে আমাদের কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।
আর জনসাধারনের নিকট অনুরোধ জানিয়ে সুজন বলেন আপনারা নিত্য ব্যবহার্য উপাদান থেকে এক সপ্তাহের জন্য পেঁয়াজকে বাদ রাখুন দেখবেন স্বাভাবিকভাবেই পেঁয়াজের দাম জনগনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।
তিনি আগামী তিন দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে না আসলে যে সকল ব্যবসায়ীগণ পেঁয়াজ কারসাজির সাথে জড়িত আছে তাদের নাম গণমাধ্যম এবং উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শন করার ঘোষনা দেন এবং ঐ সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে বয়কট করার জন্যও আহবান জানান।
সুজন এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের মতো কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মোঃ ইলিয়াছ, প্রিন্সিপ্যাল সুকুমার দত্ত, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মোঃ নিজাম উদ্দিন, খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী জাহাঙ্গীর আলম, নগর সৈনিক লীগ আহবায়ক শফিউল আজম বাহার, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য নুরুল কবির, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক আনিসুর রহমান লিমন, জানে আলম, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, সোলেমান সুমন, কাজী হেলাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, শেখ মামুনুর রশীদ, সমীর মহাজন লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, মোজাম্মেল হক মানিক, রাজীব হাসান রাজন, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, মোঃ ওয়াসিম, মোঃ শওকত প্রমূখ।
Leave a Reply