চট্টগ্রাম বন্দরের ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ৫

চট্টগ্রাম বন্দরের ভূয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল একাধিক প্রতারক চক্র৷

এই চক্রের জাল সারাদেশ জুড়েই বিস্তৃত৷ বেকার যুবকদের সরকারী চাকুরীর সোনার হরিন প্রাপ্তির স্বপ্নটি রিতিমতন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয় যখন জানতে পারে লাখ টাকা ব্যয়ে যে নিয়োগ পত্রটি মিলেছে সেটি ভূয়া৷

এমনই একটি ভূয়া নিয়োগ পত্রের মাধ্যমে সুদূর পঞ্চগড় থেকে সোহেল মিয়া নামের এক যুবককে চট্টগ্রাম বন্দরে চাকরি দেওয়ার নাম করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে প্রতারক চক্র। সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায় বন্দরের অফিস সহায়ক পদে চাকরি। চক্রটি ইতিপূর্বে অগ্রিম পঞ্চাশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চট্টগ্রামে এনে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অবশিষ্ট টাকা দাবী করলে ভূক্তভোগী সোহেল মিয়ার পরিচিত এক লোক বিষয়টি চট্টগ্রামের এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানাকে অবহিত করেন। ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা নিয়োগপত্রে স্বাক্ষরকারী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ মমিনুর রশিদ কে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফোন করলে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভূয়া৷

এরপর চাকরী প্রত্যাশী সোহেল মিয়ার মুঠোফোন নাম্বারের সূত্রধরে ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা প্রতারক চক্রসহ ভিকটিম সোহেল মিয়ার চট্টগ্রামের অবস্থান বের করেন।

জানা গেছে, নগরীর আগ্রাবাদের আবাসিক হোটেল দুবাই এর ২১১ নাম্বার কক্ষে তারা অবস্থান করছে। অবস্থান নিশ্চিতের বিষয়টি সিএমপির এডিসি ইন্টেলিজেন্সকে জানালে ডবলমুরিং থানার এসআই অর্নব সহ সাদা পোশাকে পুলিশের একটি টিম ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা সহ গতকাল (২৪জুন) বিকেলে সেখানে পৌঁছে প্রতারক চক্রের রতন ও রেজাউল ইসলাম রেজা সহ পাঁচ সদস্যকে আটক করেন।

এই ঘটনায় প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার জন্য আটক পাঁচজনকে গতকালই ডবলমুরিং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে৷

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *