দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটাররা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। দিনভর গুঞ্জন ও নাটকীয়তার পর ক্রিকেটাররা গুলশানের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে জড়ো হন।
এ সময় তারা ১৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। এর আগে ধর্মঘট ডেকেছিলেন ১১ দফা দাবিতে।
ক্রিকেটারদের ১৩ দফা দাবি উপস্থাপন করে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলেন ক্রিকেটারদের আইনি পরামর্শক ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান।
![](http://www.24ghonta.news/wp-content/uploads/2019/10/দাবি-2-300x171.jpg)
এ সময় যেসব দাবি উপস্থাপন করা হয়, সেগুলো হল-
১. ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সবার পদত্যাগ ও প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন গঠন।
২. ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী দল পছন্দ করা ও পারিশ্রমিক নিয়ে আলোচনা করা (যে নিয়ম প্লেয়ার ড্রাফট ব্যবস্থা শুরুর আগে ছিল)।
৩. বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আগের সিস্টেমে ফিরে যাওয়া ও বিদেশি খেলোয়াড়দের সাথে দেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের বৈষম্য কমানো।
৪. প্রথম শ্রেণিতে ম্যাচ ফি ১ লাখ টাকা করার পাশাপাশি দৈনিক ভাতা বাড়ানো, প্রতি বছর পর্যালোচনা।
৫. প্রথম শ্রেণির ও পেশাদার ক্রিকেটারদের জন্য সারা বছর কোচ-ফিজিও নিয়োগ।
৬. কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তত ৩০ জন ক্রিকেটারকে রাখা।
৭. স্থানীয় কোচ ও ক্রিকেট স্টাফদের পারিশ্রমিক বিদেশের সাথে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি করা।
৮. লিস্ট ‘এ’ ও প্রথম বিভাগ-দ্বিতীয় বিভাগে ম্যাচ সংখ্যা বাড়ানো ও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট এনে এই ফরম্যাটের পরিসর বাড়ানো।
৯. ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি করে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলা।
১০. ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ও লিগের পারিশ্রমিক যথাসময়ে পরিশোধ করা।
১১. দুইটার বেশি বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলা যাবে না- এই নিয়ম বাদ দেওয়া।
১২. বোর্ডের লভ্যাংশের হিসাব দেওয়া ও লভ্যাংশ থেকে ভাগ দেওয়া।
১৩. নারী ক্রিকেটারদেরও এসব নিয়মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা।
গত সোমবার (২১ অক্টোবর) ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জড়ো হয়ে ক্রিকেটাররা ১১ দফা দাবি জানান এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
যদিও বোর্ড ক্রিকেটারদের ধর্মঘটকে ভালোভাবে নেয়নি। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের উপর তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিসিবি সভাপতি। এ সময় তিনি ক্রিকেটারদের এমন কার্যক্রমের পেছনে তৃতীয় কোনো পক্ষের চক্রান্ত হচ্ছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন।
এতে অবশ্য হিতে বিপরীত হয়েছে। বোর্ড দফায় দফায় ক্রিকেটারদের সাথে আলোচনায় বসার চেষ্টা করলেও বোর্ড সভাপতির অসন্তোষ উল্টো ক্রিকেটারদেরই অসন্তোষ বাড়িয়ে তুলেছে।
Leave a Reply