গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা:গৃহকর্ত্রী আটক,গৃহকর্তা পলাতক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় ১২ বছরের গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই গৃহকর্মীর নাম জান্নাতি।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাত সোয়া ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক প্রকৌশলীর বাসা থেকে, মৃত অবস্থায় গৃহকর্মী শিশু জান্নাতিকে মৃত অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাসার লোকজন দাবি করেন শিশু জান্নাতি বাথরুমে পড়ে মারা গেছে।

এরপর বৃহস্পতিবার ভোরে জান্নাতির বাবাকে তার অসুস্থতার খবর দিয়ে ঢাকা আনা হয়। এরপর জানানো হয় শিশুটির মৃত্যুর কথা। সুরতহাল রিপোর্টে জান্নাতির শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে জান্নাতির পরিবার।

জান্নাতির বাবা বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, আমার মেয়ে অসুস্থ। দেখতে চাইলে ঢাকা আসতে। এসে দেখলাম মেয়ে মারা গেছে। আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।

তাদের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার তেলেআটা গ্রামে। এ ঘটনায় তার বাবা জানু মোল্লা গতকাল মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।

এদিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে থাকা গৃহকর্মী জান্নাতির (১২) মরদেহ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

প্রথম দফার ময়নাতদন্তে কেবল শারীরিক নির্যাতনের তথ্য মিলেছে বলে জানানো হলেও দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তে জানা গেছে, হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।

মামলার আসামি গৃহকর্ত্রী রোকসানা পারভিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আসামি গৃহকর্তা সাইদ আহমেদ পলাতক রয়েছেন। সাইদ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী বলে জানা গেছে।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি জি বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তিনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করেন।

জানতে চাইলে এসআই মিজানুর বলেন, জান্নাতি ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, তা বুধবারের (২৩ অক্টোবর) প্রথম দফার ময়নাতদন্ত থেকে জানা যায়নি। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ ফের তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন।

এতে জানা যায়, জান্নাতি ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এরপর থানায় মামলা হয়। সেই মামলায় গৃহকর্ত্রী রোকসানাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *