রপ্তানিকারক পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই করোনাকালীণ সময়ে সবচেয়ে বেশী প্রণোদনা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে জাতীয় সমৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইল ষ্টোন।
পোষাক শিল্পের আমদানি রপ্তানিকারকরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সড়ক অবকাঠামো ব্যবহার করে বন্দরের মাধ্যমে তাদের নিত্য ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তাদের কাছ থেকে নূন্যতম একটি সার্ভিস চার্জ পেতে পারে। বিজিএমই কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পর্যায়ে এতোদিন ধরে সার্ভিস চার্জ দিয়ে আসলেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তা থেকে বঞ্চিত। প্রশাসক এব্যাপারে বিজিএমইএ’র কাছ থেকে নূন্যতম একটি সার্ভিস চার্জ প্রত্যাশা করে। এ সার্ভিস চার্জ দিয়ে নগরীর সড়ক অবকাঠামোগুলো সংস্কার বা উন্নয়ন সম্ভব।
তিনি আজ অপরাহ্নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে বিজিএমইএ’র নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরে যে বড় দুটি ইপিজেড এবং অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে এর সাথে রয়েছে তাদের বিশাল সংখ্যক কর্মী বাহিনী। ব্যবসায়ের সুবিধার্থে এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে নুন্যতম ট্যাক্স প্রাপ্য হলেও এক্ষেত্রে ট্যাক্সের আওতার বাহিরে রয়েছে। আমি এ বিষয়টি আপনাদের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করলাম।
তিনি আরো বলেন, এ শহরটি অচিরেই একটি রিজিওনাল সেন্টারে পরিণত হবে। চলাচলের জন্য ভাল মানের রাস্তা ও অবকাঠামো প্রয়োজন। কিন্তু তা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এই ব্যয় নির্বাহে বিজিএমইএ’র অংশীদারিত্ব চট্টগ্রাম নগরবাসীতো বটেই তার সুফল ভোগ করেবে সারা দেশের রপ্তানি কারক পোষাক শিল্প।
এ প্রসঙ্গে প্রশাসকের উত্থাপিত প্রস্তাবনা ইতিবাচক হিসেবে অবহিত করে বিজিএমই’র প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে সিএন্ডএফ এর সাথে যুক্তি উত্থাপন করবো এবং তাদের মাধ্যমে সার্ভিস চার্জ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে প্রদানের পদক্ষেপ নেব।
তিনি আরো বলেন, বিজিএমইএ’র একটি হাসপাতাল আছে, সেটি চসিক চাইলে নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবার জন্য ব্যবহার করতে পারবে। চসিক পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য শীতকালীন পোশাক দেওয়ার ঘোষণা দেন বিজিএমইএ’র নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ গার্মেন্টস শিল্পের উন্নয়নের উপর জোর দেয়ার জন্য প্রশাসকের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। প্রশাসকও তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এ সময় চসিক প্রধান নির্বাহী র্কমর্কতা মুহাম্মদ কাজী মোজাম্মলে হক, প্রধান রাজস্ব র্কমর্কতা মুফিদুল আলম, একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব র্কমর্কতা সাহিদা ফাতেমা ও বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি এ.এম চৌধুরী সেলিম, পরিচালক মোহাম্মদ মুছা, অঞ্জন শেখর দাশ, খোন্দকার বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ আতিক ও এনামুল আজিজ চৌধুরীসহ বিজিএমইএ’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসকের নিকট রাস্তা কর্তন বাবদ
৩২ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা চেক দিল ওয়াসা
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে রাস্তা কর্তন বাবদ ৩২ লক্ষ ২৯ হাজার টাকার চেক প্রদান করেছেন চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার দুপুরে টাইগারপাসস্থ প্রশাসক দপ্তরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নিকট চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ এই চেক হস্তান্তর করেন।
চেক হস্তান্তরকালে প্রশাসক বলেন, ওয়াসা রাস্তা কর্তনের সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা সংস্কার কাজে নিয়োজিত গাড়ী প্রস্তুত থাকবে। রাস্তা কর্তনের পর পরই পুনরায় রাস্তা সংস্কার করা হবে। যাতে করে নগরবাসী বা সাধারণ জনগণের কোন রকম দুর্ভোগ পোহাতে না হয়।
এ সময় প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম ও চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুর ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বায়েজিদে ২ শতাধিক দোকান-পাট উচ্ছেদ করল চসিক ভ্রাম্যমান আদালত
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌসের নেতৃত্বে আজ সকাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
অভিযানে নগরীর বায়েজিদ থানাধীন তারা গেইন থেকে আর্মডপুলিশ ব্যাটেলিয়ন রোড ও শেরশাহ আবাসিক রোডের দুই পার্শ্বে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় ২ শতাধিক দোকান-পাট ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী, র্যাব-৭, বায়েজিদ থানা পুলিশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ৩০ আনসার ব্যাটেলিয়াম, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিভিশন লি. পিডিবিসহ সংশ্লিষ্টরা ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা প্রদান করেন।
২৪ ঘণ্টা/রিহাম
Leave a Reply