চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন সার্সন রোডে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ডেভেলপমেন্ট কোম্পানীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া একটি জয়াগার সীমান প্রচীর রাতের অন্ধকারে ভেঙ্গে দিয়ে জায়গাটি অবৈধভাবে দখলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে জে. এস কন্সট্রাকশন লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ। জিডি নং-১৬১৮।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোতোয়ালী থানাধীন সার্সন রোডের উত্তর আসকারদীঘির পড়ের ডা: ফউজুল আজিমের ছেলে মেজবাউদ্দৌলা তার মালিকানাধীন জায়গায় বহুভবন নির্মাণের জন্য ১০৮৭১ ও ১০৯৭২ নং দলিলমূলে চুক্তিবদ্ধ হয় জে. এস কন্সট্রাকশন লিমিটিডে এর সাথে।
পরবর্তীতে জে. এস কন্সট্রাকশন লি: ভবন নির্মানের জন্য সিডিএ কর্তৃক অনুমতির জন্য আবেদন করে। কিন্তু এই বিষয়ে মেজাবউদ্দৌলার ভাই মৃত মঈনুদ্দৌলা’র ওয়ারিশ ফয়সাল আজিম উক্ত বিষয়ে সিডিএ বরাবর অনাপত্তিপত্র দাখিল করে ও আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করে। আদালত জে. এস কন্সট্রাকশনের পক্ষে রায় দিলে মামলাটি নিস্পত্তি হয় ও জায়গাটিতে জে এস কন্সট্রাকশন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কোন বাঁধা নেই বলে আদালত রায় দেয়।
জানা যায়, তফসিলভুক্ত জায়গাটিতে যৌথ বিল্ডিং নির্মাণ হবে বিধায় সিডিএ কর্তৃক বিশষজ্ঞ প্রকৌশলী দিয়ে ডিজাইন ও চুয়েট কর্তৃক ভেনটিং করার জন্য জে. এস কন্সট্রাকশন লিমিটেডকে আদেশ দেয়।
পরবর্তীতে চুয়েট কর্তৃক ডিজাইন ২৩/০৬/২০১ ইং তারিখে সিডিএ’তে দাখিল করে জে এস কন্সট্রাকশন লিমিটেড।
এরপর গত ০৮/০৮/২০১৯ ইং তারিখে এক শুনানিতে সিডিএ কর্তৃপক্ষ তফসিলভুক্ত জায়গাটির বিল্ডিং অপসারণের আদেশ দিলে জে. এস কন্সট্রাকশন বিল্ডিংটি অপাসারণ করে ২৫/১০/২০২০ ইং তারিখে সিডিএ’তে প্রতিবেদন দাখিল করে জায়গাটি দখলে নেয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জে এস কন্সট্রাকশন লি: এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ বলেন, আমরা সকল আইনি জটিলতা নিরসন করে সিডিএ কর্তৃপক্ষের সকল শর্ত মেনে জায়গাটি দখল নিয়েছিলাম। কিন্তু মহামারী করোনার কারণে সিডিএ থেকে নকশা সংগ্রহ করে নির্মাণ কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছিল। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে একটি প্রভাবশালী মহল আমাদের তফসিলভুক্ত জায়গার সীমানা প্রচীর ভেঙ্গে দিয়ে জায়গাটি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করছে। আমরা এই বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা জানতে পেরেছি একটি প্রভাবশালী মহল আমার চুক্তিদাতার সাথে জোগসাজসে এই জায়গাটি বেআইনিভাবে দখলের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, চুক্তিদাতা যদি জায়গাটি অন্যত্র বিক্রি করে দিতে চায় তাহলে আগে আমার সাথে হওয়া চুক্তিপত্র ও পাওয়ার অব অ্যাটর্নির বিষয়ে একটি সমাধান করে তারপারই বিক্রি বা জায়গাটি তাদের দখলে নিতে পারে। কোন আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া এভাবে রাতের অন্ধকারে সীমান প্রচীর ভেঙ্গে দেওয়া আইনের পরিপস্থী।
২৪ ঘণ্টা/আবরার
Leave a Reply