চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানার রিয়াজউদ্দিন বাজারে অতিরিক্ত দামে আলু বিক্রি করার অপরাধে ১০ আড়তদারকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯ ঘটিকা হতে ১২ ঘটিকা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুকের নেতৃত্বে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে আলুর আড়তে দেখা দেখা যায় সরকার নির্ধারিত দামে আলু প্রতি কেজি ৩০ টকা পাইকারি বিক্রয় করার নির্দেশনা থাকলেও তারা ৪০ টাকার উপরে বিক্রি করছিল। খুচরা ব্যাবসায়ীদের কাছে বিক্রি করার বিক্রয় রশিদ দেখাতে পারেনি। বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে আলুর দাম বৃদ্ধি করে আড়তদাররা আলু বিক্রি করছিল।
যার ফলে ১০ টি আড়তকে প্রায় ১৪০০০০ (এক লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এর মধ্যে মেসার্স কুমিল্লা ট্রেডার্সকে ২০০০০ (বিশ হাজার) টাকা, রফরফ বাণিজ্যালয়কে ২০০০০ (বিশ হাজার) টাকা, মেসার্স মক্কা বাণিজ্যালয়কে ২০০০০ (বিশ হাজার) টাকা, মেসার্স মামুন ট্রেডার্স কে ২০০০০ (বিশ হাজার) টাকা, মেসার্স মা বিতান ২০০০০ (বিশ হাজার) টাকা, মেসার্স কুসুমপুরা বানিজ্যালয়কে ১০০০০ (দশ হাজার টাকা), মেসার্স জননী ট্রেডার্সকে ১০০০০ (দশ হাজার টাকা), মেসার্স দাউদকান্দি বাণিজ্যালয় ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা, নিউ রাজমহল বাণিজ্যালয়কে ৫০০০ (পাঁচ হাজার)টাকা, মেসার্স আশীষ লালধর এন্ড ব্রাদার্সকে ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, সরেজমিনে দেখা যায় সরকার পাইকারি ক্ষেত্রে আলুর দাম সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দিলেও আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা ৪২ টাকার উপরে বিক্রয় করছিল।এমনকি খুচরা ব্যাবসায়ীদেরকে কোন ধরনের বিক্রয় রশিদ দেয়নি যার ফলে বিক্রয় রশিদ ও ক্রয় রশিদ দেখাতে পারেনি।অর্থাৎ দাম নিয়ে কারসাজির প্রমাণ মেলে।ফলে ১০ আড়তদার ও পাইকারি ব্যাবসায়ীকে অর্থদণ্ড করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং অব্যাহত আছে।তারপরও কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী সরকারের বেঁধে দেয়া দামে আলু বিক্রয় না করার অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। যার ফলে অভিযানে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, যারা দাম কারসাজির মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করছে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতদের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতেও যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের বাজার মনিটরিংসহ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
২৪ ঘণ্টা/রিহাম
Leave a Reply