‘নগরীর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় যুক্ত হলো স্যুইপিং ট্রাক’

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আজ বুধবার সকালে জিইসি মোড় ও দেওয়ানহাট মোড়ে নগরীকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে আধুনিক স্যুইপিং ট্রাকের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীকে বিশ্বমানের নগরী হিসেবে গড়ে তোলার অংশ হিসেবে এই কার্যক্রম শুরু করেছি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে পরিচ্ছন্নতা কাজে প্রায় ৩ হাজার সেবক প্রতিদিন কাজ করে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিচ্ছন্নতা কাজ আরো ত্বরান্বিত করতে পুরণো পদ্ধতিতে বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হলো এই আধুনিক স্যুইপিং ট্রাক। নতুন এ যন্ত্রের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নতুনমাত্রা যোগ হবে এবং এ পরিচ্ছন্ন কাজের প্রসারতা বৃদ্ধি পাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চসিককে ৩টি আধুনিক ভ্যাকুয়াম টাইপ রোড সুইপার ট্রাক উপহার দিয়েছেন। ২০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী এক সাথে যে কাজ করতে পারবে, তার চেয়েও বেশি পরিচ্ছন্নতা কাজ করার সক্ষমতা রাখে এক একটি ট্রাক। ইতালী থেকে আনা এক একটি ট্রাক দিয়ে অন্তত ১২ কি.মি. রাস্তা পরিস্কার করতে পারবে। ট্রাকের যন্ত্রটি মুহূর্তের মধ্যে রাস্তার ধুলোবালি-বর্জ্য পাইপ দিয়ে তুলে নিবে। এর সংগে আলাদা পানির ট্যাংকও যুক্ত আছে। প্রয়োজনে পানি ছিটিয়ে রাস্তা পরিস্কার করা যাবে। আবর্জনা সংগ্রহের পর সুবিধাজনক স্থানে তা আনলোড করবে। আবর্জনা আনলোডের পর গাড়ির পানি দিয়ে গাড়িটি ধুয়ে ফেলার সুযোগও রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ট্রাকগুলো চালানোর জন্য চালকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ট্রাকগুলো মেরামত কাজের জন্য একজন ফোরম্যান ও একজন মেকানিককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আশাকরি প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরীকে সুন্দর ও পরিবেশবান্ধব বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে যে আন্তরিক, এই আধুনিক স্যুইপিং ট্রাক প্রদানের মাধ্যমে তা আবারো প্রমাণিত হলো।

প্রশাসক প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর প্রতি এ জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী জয়সেন বড়–য়া, মির্জা ফজলুল কাদের, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী চাল বিতরণ মানবিক উদ্যোগ: সুজন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রজনন পরিবেশ সুরক্ষায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকা সময়ে নিবন্ধিত মৎসজীবীদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভি.জি.এফ চাল বিতরণ প্রণোদনা কার্যক্রম একটি প্রশংসনীয় মানবিক উদ্যোগ। এর ফলে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে বেকার মৎস্যজীবী পরিবারের দুর্ভোগ লাঘব ও দু’মুঠো অন্নের সংস্থান সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আজ সকালে নগরীর উত্তর কাট্টলীস্থ খেজুর তলা জেলে পাড়ায় মৎস্যজীবীদের মাঝে সরকারী চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, মৎস্য প্রজননকালীন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকায় সামৃদ্রিক মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আকার ও ওজনে বড় হচ্ছে। এতে মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। এ ছাড়াও সামুদ্রিক মাছ রফতানী করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি জেলেদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাময়িক একটু সমস্যা হলেও নির্দ্দিষ্ট সময়ে মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে বাকীটা সময় মাছে-ভাতে বাঙালির সুখেই কাটবে।

তিনি সর্তক করে দেন যে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে কর্ণেল হাট ও ঝোলার হাটে সামুদ্রিক মাছ দেখা গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই সময় মৎস্যজীবীরা প্রশাসককে অবহিত করেন যে, মাছ শিকারের জন্য তাদের নির্ধারিত স্থানে ভোলা থেকে আসা মৌসুমী মৎস্যজীবীরা স্থানীয় কিছু মানুষের সহযোগিতায় তারা স্থানীয় জেলেদের বাঁধা দেয় এমন কি নির্যাতনও চালায়। তিনি এ বিষয়টি আমলে এনে বলেন, কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনীকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হবে। এ সময় জেলা সম্প্রদায়ের পক্ষে বক্তব্য রাখেন অনাথ বন্ধু দাস, সুভাষ দাস, সমীরণ দাস, রতন দাস, রতন দাস সহ স্থানীয় রাজনৈতিক আবদুস সালাম, আলী আজমী মিন্টু, শাহাদাত হোসেন, আলাউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

২৪ ঘণ্টা/রিহাম

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *