ফ্রান্সে হযরত মুহাম্মদ (দ.)-এর ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কনের প্রতিবাদে সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারীর বিবৃতি

২৪ঘণ্টা নিউজ ডেস্ক: মাইজভাণ্ডার শরিফ `দরবারে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী’র গাউসিয়া হক মনজিলের সাজ্জাদানশীন `শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট’এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি, হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.জি.আ.) এক বিবৃতিতে সভ্য সংস্কৃতির ভূমি হিসেবে পরিচিত ফ্রান্সে বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠতম মানব হযরত মুহাম্মদ (দ.)-এর ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন এবং `মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে’এর প্রতি বর্তমান ফরাসি প্রেসিডেন্টের সমর্থনকে `সাংস্কৃতিক বিকারগ্রস্ততার লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত’বলে উল্লেখ করেন। শাহেন শাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট ফেইসবুক পেইজে এই বিবৃতি প্রদান করেন।

এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেন, ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক মন্দা, জাতীয় আয়ের সূচকে পতন এবং আসন্ন নির্বাচনে ডানপন্থী বর্ণবাদী প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হারের আশংকায় বেসামাল প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফরাসী বিপ্লবের উজ্জ্বল পৃষ্ঠায় কালো আঁচড় বসিয়েছেন এবং শান্তি ও সহাবস্থানের পথে কণ্টক বিস্তার করছেন, যা নিতান্তই অবাঞ্ছিত।

বিবৃতিতে সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান (ম.জি.আ.) আরো বলেন; বিকারগ্রস্ততা, মতলববাজী, অশুভ উদ্দেশ্যে কোন্দল সৃষ্টিকে `বাকস্বাধীনতা’ বলে চালানোর এই ভূতুড়ে প্রয়াস নিতান্তই হাস্যকর এবং রুশো ভল্টেয়ার, রেঁনে ডেকার্তের মত মনীষীদের জন্মভূমির শীর্ষ সরকার প্রধানের মর্যাদার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। তিনি দুঃখ করে বলেন, পশ্চিমা বিশ্বে অস্তিত্ব সংকটে জর্জরিত একটা বিকৃত বুদ্ধিজীবী শ্রেণী তাদের রুজি-রোজগারের পথ হিসেবে ইসলাম ও ইসলামের মহান নবী হযরত মুহাম্মদ (দ.)কে নিয়ে অত্যন্ত নীচ ও ঘৃণ্য কুৎসাকে ব্যবসায় ও উপার্জনের পথ হিসেবে অবলম্বন করতে কুণ্ঠিত হয় না।

এ ধরনের অসভ্যসূচক নীচাশয়তা থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ফায়দা লাভের সহজ পন্থা হিসেবে পাশ্চাত্যের কোন কোন দেশের এক শ্রেণির রাজনীতিবিদকে এ ধরনের নোংরা পথ অবলম্বন করতে দেখা যায়, যা ঘৃণ্য বর্ণবাদ ও অসহিষ্ণু সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি থেকে এসব অবাঞ্ছিত মানসিকতাকে বিসর্জন দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানসিক ও সাংস্কৃতিক সুস্থতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হলে কোন বিশেষ সমাজ বর্বরতার কদর্যতায় ঢাকা পড়তে পারে। উপসংহারে তিনি মুসলিম উম্মাহ’র পবিত্র আবেগের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং আল-কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “হায় আফসোস, এই বান্দাদের জন্যে, তাদের নিকট এমন কোন রসূল আসেনি, যাদের প্রতি তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ না করেছে! (৩৬:৩০)”।

২৪ঘণ্টা/এন এম রানা

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *