দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব

অবশেষে গুঞ্জনটাই সত্যি হলো। জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েও সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে না জানানোয় সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টে বলা আছে, বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেলে সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হবে। না হয় আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা- আকসুকে অবহিত করতে হবে। সে খবর নিজে লুকিয়ে রাখলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। সাকিব তার কোনোটাই করেননি।

সাকিব মূলত এক বছর নিষিদ্ধ থাকবেন। পরবর্তী এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞায় থাকবেন। ওই এক বছরে সাকিব পুনরায় একই অভিযোগে অভিযুক্ত হলে সাকিবকে আবার শাস্তি দেবে আইসিসি।

আজ থেকেই সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে ফিরতে পারবেন সাকিব।

আইসিসির ওয়েবসাইটে সাকিবের নিষেধাজ্ঞার এই সিদ্ধান্তটি জানানো হয়েছে। ম্যাচ ফিক্সিং-এর প্রস্তাব পাওয়ার পর সেটা গোপন করার অভিযোগে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।

আইসিসি বলছে, আগামী এক বছর তিনি খেলতে পারবেন না, কিন্তু তিনি যদি সাজার সব শর্ত মেনে চলেন তাহলে তিনি ২০২০ সালের ২৯শে অক্টোবর থেকে মাঠে ফিরে আসতে পারবেন।

২০১৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ ও ২০১৮ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুর্নীতির প্রস্তাব দেয়া হয় সাকিব আল হাসানকে।

সাকিব সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ আইসিসির এ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে জানায়নি।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের একটি ম্যাচে সাকিব দুর্নীতির প্রস্তাব পান।

আইসিসির বিবৃতি অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৯শে অক্টোবর পর্যন্ত তার নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

এরপর তার স্থগিত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে যেখানে সাকিবকে সন্তুষ্ট করতে হবে যে তিনি আর অপরাধের পুনরাবৃত্তি করবেন না।

আইসিসির দেয়া বিবৃতিতে সাকিব আল হাসান বলেন, “আমি খুব দুঃখিত, আমার নিষেধাজ্ঞার জন্য। আমি খেলাটি ভালোবাসি, তবে আমার বিরুদ্ধে আনা দায় আমি মেনে নিয়েছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইসিসির যে অবস্থান সেখানে আমি আমার দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে পারিনি।”

অ্যালেক্স মার্শাল, যিনি আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার, তিনি বলেন, ” সাকিব অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার, সে অনেক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, এটা তার দায়িত্ব ছিল এই প্রস্তাবগুলো রিপোর্ট করা।”

আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার আশা করছেন, সাকিব আর এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন না এবং ভবিষ্যতে আইসিসির দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *