বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ২ রানে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। বরিশালের জয়ে প্লে-অফের আগেই বাদ পড়ল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। অন্যদিকে তৃতীয় স্থানে থেকেই লিগ পর্ব শেষ করল ঢাকা।
‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করে বরিশাল। দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও তৌহিদ হৃদয়।
৪৩ বলে ৫০ রান করা সাইফ গড়ে দিয়েছিলেন ইনিংসের ভিত। তামিম ইকবাল ১৯ ও পারভেজ হোসেন ইমন করেন ১৩ রান। তাদের সমর্থন কাজে লাগিয়ে শেষদিকে বিধ্বংসী রুপ নেন আফিফ ও হৃদয়। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ৯১ রানের অনবদ্য অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ, মাত্র ৩৮ বলে।
১ চার ও ৫ ছক্কায় আফিফ ২৫ বলে ৫০ এবং ২ চার ও ৪ ছক্কায় হৃদয় ২২ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে টুর্নামেন্টের দ্রুততম ফিফটি, আফিফের ফিফটি ছিল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দ্রুততম।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সোহরাওয়ার্দী শুভর বোলিং তোপে পড়ে ঢাকা। ৬২ রানের মধ্যেই ঢাকার তিন ব্যাটসম্যানকে শিকার করে নেন শুভ। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ওপেনার নাঈম শেখ ও ইয়াসির আলী রাব্বি। নাঈমের বিধ্বংসী ব্যাটিং ঢাকাকে নিয়ে যায় জয়ের কাছে। ৬০ বলে শতক হাঁকান নাঈম, যিনি অর্ধশতক করেছিলেন ৪৩ বলে। নাঈম যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ঢাকার জয়কে মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। তবে ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাঈমকে শিকার করেন সুমন খান। ৬৪ বলে ১০৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার, হাঁকান ৮টি চার ও ৭টি ছক্কা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। ঐ ওভারে রান আউট হন ইয়াসির (২৮ বলে ৪১)। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯১ রান। বরিশাল পায় ২ রানের কষ্টার্জিত জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : বেক্সিমকো ঢাকা
ফরচুন বরিশাল : ১৯৩/৩ (২০ ওভার)
হৃদয় ৫১*, আফিফ ৫০*, সাইফ ৫০
আল-আমিন ৫/১, রুবেল ২৮/১, মুক্তার ৪৮/১
বেক্সিমকো ঢাকা : ১৯১/৫ (২০ ওভার)
নাঈম ১০৫, ইয়াসির ৪১, সাব্বির ১৯
শুভ ১৩/৩
ফল : ফরচুন বরিশাল ২ রানে জয়ী।
Leave a Reply