চসিকের কার্যক্রমে গতির সঞ্চারে সন্তুষ্ট মন্ত্রণালয়: সচিব হেলালুদ্দীন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশেনের প্রশাসক পদে আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও নাগরিকসেবা কার্যক্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

তিনি আজ রোববার সকালে কর্পোরেশনের টাইগার অফিসের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত প্রশাসক ও কর্মকর্তাদের সাথে চসিকে চলমান প্রকল্প সমূহের অগ্রগতির পর্যালোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।

সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহামদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, রাজস্ব কর্মকর্তা সাহেদা ফাতেমা চৌধুরী ও চসিক আঞ্চলিক অফিস-৬ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আকতার, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, আবু সালেহ,মনিরুল হুদা,কামরুল ইসলাম,সুদীপ বসাক,ঝুলন কুমার দাশ,অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদ আকতার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সভায় কর্পোরেশনের প্রকৌশলীগণ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে স্থানীয় সরকার সচিবকে অবহিত করেন।

চসিকের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনায় স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, চসিকের বর্তমান প্রশাসকের দায়িত্বকালীন সময়ে চট্টগ্রাম নগরীর সেবা কার্যক্রম বিশেষ করে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন, রাস্তা-ঘাটের মেরামত ও উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ মহলেও কর্পোরেশনকে সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিতে মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা দিয়ে রাখা আছে।

তিনি বলেন, এখনকার চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত মনে হয়। স্থানীয় সরকার সচিব চট্টগ্রাম নগরীর লাইফলাইন খ্যাত পোর্ট কানেকটিং (পিসি) রোডের নির্মাণকাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনকে ধন্যবা ও অভিন্দন জানান।

তিনি বলেন, প্রশাসক দায়িত্ব নিয়ে রাত-দিন পরিশ্রম ও তোড়জোড় করে যেভাবে পিসি রোডের নির্মাণ কাজে গতি ফিরিয়ে এনেছেন তা প্রশংসনীয়। এই সড়কটির কাজ পুরোপুরি শেষ হলে ওই অঞ্চল ও চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক ট্যাংক-লরি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম দুরপাল্লার বাসগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। দুর্ভোগ লাঘব হবে জনসাথারণের।

স্থানীয় সরকার সচিব বর্তমানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ১ হাজার কোটি টাকার যে মেগা প্রকল্প চলছে, তা শেষ হলে নগরীর জলাবন্ধতা আর থাকবেনা বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, এই কাজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে হলে ভালো হতো। কারণ অতীতের অভিজ্ঞতা ও জনবলের সক্ষমতা আছে একমাত্র কর্পোরেশনের। কর্পোরেশনে অনেক প্রবীণ ও দক্ষ প্রকৌশলী আছেন যাদের নখদর্পনে পুরো চট্টগ্রাম নগরীর মানচিত্র। তারা জানেন নগরীর খালগুলো কি অবস্থায় কোথাই কয়টা আছে।

তিনি বলেন,কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, বহিনোঙ্গরে জাহাজ জট কমার পাশাপাশি সহজে অবতরণ করতে পারবে আশাকরি।

সচিব চট্টগ্রাম উন্নয়নের স্বার্থে জলাবদ্ধতাসহ অন্য সকল উন্নয়ন ও সেবা কার্যক্রম চসিককে চউক,ওয়াসা ও অন্য মেগাসংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করার আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বকেয়া পাওনাদি দ্রুত পাওয়ার পাশাপাশি নগরীর অবকাঠামো ব্যবহারকারী সরকারি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ প্রাপ্তি নিশ্চিত ও কর্পোরেশনের ১২’শ কোটি টাকা দেনা পরিশোধে স্থানীয় সরকার সচিবের সহযোগিতা কামনা করলে, সচিব মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে আলাপ করে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগীতা করবেন জানান।

এসময় চসিকের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শ্রমিক-কর্মচারী লীগ(সিবিএ) এর নেতৃবৃন্দ চসিকে কর্মরত অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের স্থায়ীকরনে স্থানীয় সরকার সচিবকে অবহিত করে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করলে, তিনি এ বিষয়ে আলাপ করবেন বলে জানান, সে সময় সিবিএ নেতৃবৃন্দের মধ্যে ফরিদ আহমদ,মুজিবুর রহমান,জাহিদুল আলম চৌধুরী, বিপ্লব কুমার চৌধুরী, রতন দত্ত,আব্দুল মওদুদ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়িত ফরেইন, কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস-এফসিডিও ও ইউএনডিপি সহায়তায় দেয়া পয়ঃনিস্কাশণ এবং স্যানিটেশনের উন্নয়নে ভ্যাকুয়াম ট্যাগ এর ৪ টি ট্রাক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে হস্তান্তর করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *